৪২ বার কোপ মেরে খুন, অপরাধীর ফাঁসি
১ সেপ্টেম্বর ২০২৩সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হলো, বিরল থেকে বিরলতম শাস্তির ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায়। বহরমপুরের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক মনে করেছেন, সুতপা-হত্যাকাণ্ডও ছিল এই ধরনের অপরাধ।
বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখে মেসে ফিরছিল বহরমপুর কলেজের প্রাণিবিজ্ঞানের ছাত্রী সুতপা। ভর সন্ধ্যায় মেসের সামনে তার উপর চড়াও হয় সুশান্ত। ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুতপার শরীরে ৪২ বার কোপ মারে।
তারপর সে পিস্তল হাতে নেয়। গোরাবাজারের মতো জায়গায় কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেননি। তারপর পাঁচিল টপকে পালায় সুশান্ত। পোশাক বদল করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে সুশান্তকে।
খুব কাছ থেকে সুশান্তকে খুন করতে দেখেছিল দুইজন। তারা সাক্ষ্য দিয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ছিল। মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও নেয়া হয়েছিল। পুলিশ সেই সব দেখে মামলা সাজায়। আদালতে তা পেশ করে। সুশান্তর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনও পেশ করা হয়। সুশান্ত যে দোকান থেকে অস্ত্রটি কিনেছিল, সেই দোকানের কর্মচারীও তা চিহ্নিত করে। যে পিস্তলটি তার হাতে ছিল, সেটি খেলনা পিস্তল। ই কমার্স সংস্থা থেকে আনানো। সেই ডেলিভারি ম্যানও সাক্ষ্য দেন।
বিচারক যখন ফাঁসির সাজা শোনাচ্ছেন, তখন সুতপার বাবা চিৎকার করে ওঠেন, সুতপা, সুতপা মা রে। পরে তিনি বলেন, তার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। তবে তার মা বলেন, যেভাবে যন্ত্রণা দিয়ে তার মেয়েকে মারা হয়েছে, তেমনভাবেই সুশান্তর মৃত্যু হওয়া উচিত।
সুশান্তের বাড়ির মানুষদের বক্তব্য, টাকাপয়সা ও নাটকের কাছে তাদের হেরে যেতে হলো।
তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানানো যাবে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই, আনন্দবাজার)