হামাসের ক্যামেরা ভাঙতে গিয়ে সাংবাদিকদের হত্যা
২৭ আগস্ট ২০২৫আল জাজিরার সাংবাদিকরা নিহত হওয়ার পর আবার ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের মৃত্যু হেয়েছে। যা নিয়ে দুনিয়াজুড়ে নিন্দা করা হচ্ছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, ঘটনাটির জন্য তারা 'দুঃখিত'। একই সঙ্গে তাদের দাবি, হামাস নাসের হাসপাতালে একটি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছিল বলে তাদের ধারণা। যা দিয়ে তারা ইসরায়েলের সেনার গতিবিধি লক্ষ্য করছিল বলে তাদের মনে হয়েছে। সেই কারণেই হাসপাতালে একবার নয়, দুইবার তারা আঘাত হেনেছে বলে দাবি। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ কয়েকটি দেশ।
বস্তুত, প্রথমবার হাসপাতাল চত্বরে বিস্ফোরণ হওয়ার পরেই সাংবাদিকেরা সেখানে পৌঁছেছিল। তারপর সাংবাদিকদের উপস্থিতির মধ্যেই ইসরায়েল সেখানে দ্বিতীয়বার আক্রমণ চালায়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হাসপাতালে হামলা চালানো গর্হিত অপরাধ। ইসরায়েল আগে অবশ্য এর আগেও গাজার হাসপাতালে একবার নয়, বারবার আক্রমণ চালিয়েছে।
গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের দ্বিতীয়বার আক্রমণ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দা করা হয়েছে। ইসরায়েলের বন্ধু দেশগুলিও এর নিন্দা করেছে। এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলি ইসরায়েলের এই আক্রমণের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, ইসরায়েল শাক দিয়ে ভাত ঢাকার চেষ্টা করছে। গাজার হাসপাতালে তাদের আক্রমণের যুক্তি ধোপে টেকে না। বস্তুত, ইসরায়েলও এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলির প্রশ্ন, ক্ষমা চাওয়াই কি যথেষ্ট? এই মাসেই কিছু মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েল ৮৮ শতাংশ যুদ্ধাপরাধের কোনো সর্বজনবিদিত ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
২০৯ জন সাবেক ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে বলা হয়েছে, গাজা এবং পশ্চিম উপকূলে ইসরায়েল যা করছে, তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। ইসরায়েলের প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
এদিকে ইসরায়েলের রাস্তাতেও জনসাধারণের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাজধানীর রাস্তায় রীতিমতো টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, দ্রুত গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং এই যুদ্ধ বন্ধ করা হোক।
ইসরায়েলের পুলিশ রাস্তায় নেমে এই প্রতিবাদ বিক্ষোভগুলি দমন করেছে বলে জানা গেছে। যদিও তাতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)