স্তব্ধ পহেলগাম, দোকানপাট বন্ধ, শুনশান রাস্তা
মঙ্গলবার বৈসরনে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার পর এখন স্তব্ধ পহেলগাম। শোকস্তব্ধ মানুষ।
শুনশান রাস্তা
পহেলগামের রাস্তা পুরো শুনশান। রাস্তায় মানুষ নেই। দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে সার সার ট্যাক্সি। রাস্তায় শুধু নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশ দাঁড়িয়ে।
ভরা পর্যটন মরসুমে
পহেলগামে পর্যটন মরসুম শুরু হয় এপ্রিল থেকে। চলে তিন মাস। বছরের অনেকটা সময় তা থাকে বরফের নিচে। তাই গরমের সময় পহেলগামে পর্যটকদের ভিড়ে পা ফেলা যায় না। এহেন পহেলগামে শুধুই স্তব্ধতা বিরাজ করছে।
ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের অবস্থা
ভরা পর্যটনের সময় পহেলগামের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডগুলিতে প্রায় আটশ গাড়ি থাকে। সব আগে থেকে ভাড়া হয়ে যায়। মঙ্গলবারের পর অধিকাংশ পর্যটক পহেলগাম ছেড়ে চলে গেছেন। গাড়িগুলো পড়ে আছে। চালকদের, মালিকদের সারা বছরের আয় এই তিন মাসে হয়। তারা পথে বসেছেন।
দোকানপাট বন্ধ
সব দোকানপাট বন্ধ। প্রায় সব রেস্তোরাঁও বন্ধ। পর্যটকই তো প্রায় নেই। খাবে কে? বাইরের কর্মীরাও চলে যাচ্ছেন। অথচ ভরা মরসুমের জন্য তারা সবাই প্রচুর মালপত্র কিনে রেখেছেন। ফলে তাদের মাথায় হাত।
শূন্য রোস্তোরাঁয়
একটা রোস্তোরাঁয় ভিতরে ঢুকে দেখা গেলো, সাজানো খাবারের জায়গায় শূন্যতা বিরাজ করছে। আয়োজন ছিল। মঙ্গলবারের আগে গমগম করতো এই স্থান। এখন কেউ নেই।
বাকি পর্যটকরাও চলে যাচ্ছেন
অল্প কিছু পর্যটক যারা এখনো থেকে গেছেন, তারাও চলে যাচ্ছেন। গাড়ি বা টেম্পো ট্র্যাভেলারের মাথায় জিনিসপত্র বেঁধে রওনা দিচ্ছেন পহেলগাম থেকে।
ছবির মতো শহরে
কাশ্মীরের সৌন্দর্যের কথা নতুন করে বলার দরকার নেই। তার মধ্যে পহেলগামের আকর্ষণ পর্য়টকদের কাছে অমোঘ। একটা অমানবিক আক্রমণ সেই পহেলগামকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। ধাক্কা দিয়েছে মানুষকে, মানবতাকে।
যা দেখতে পর্যটকরা যান
কাশ্মীরের, পহেলগামের এই দৃশ্য দেখতেই তো পর্যটকরা যান। কাশ্মীরের, পহেলগামের সেই ছবি একইরকম আছে। শুধু মঙ্গলবারের ঘটনায় ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে গেছে জনজীবন।
বৈসরন এখন
এখানেই এসেছিলেন পর্যটকরা। উপভোগ করছিলেন সৌন্দর্য। তাদের উপর ঠান্ডা মাথায় হামলা করে সন্ত্রাসীরা। রক্তে লাল হয় এই উপত্যকা। এই আঘাত শুধু কয়েকজন পর্যটকের উপর নয়, এই আঘাত মানবতার উপরে। সে জন্য কাশ্মীরের মানুষও গত তিনদিন ধরে সমানে প্রতিবাদ করছেন এই ঘটনার, ক্ষোভপ্রকাশ করছেন, বলছেন এই আঘাত কাশ্মীরিদের উপরেও।