সুদানে ভূমিধসে মৃত অন্তত ১০০০
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫এখন পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা গিয়েছে মাত্র একজনকে৷ মঙ্গলবার সুদানের রাজধানী খার্তুমে ভূমিধসে মৃতদের উদ্দেশে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে৷
টানা কয়েকদিন প্রবল বর্ষণের পরে রবিবার দারফুরের মারা পার্বত্য এলাকার তারাসিন গ্রামে ভূমিধস নামে৷ সুদানের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট' নিয়ন্ত্রণ করে এই অঞ্চলটি৷ সোমবার তারা জানিয়েছে, ভূমিধসে প্রাণ গিয়েছে ১০০০ জনেরও বেশি মানুষের ৷ জাতিসংঘ ও অন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থার কাছে সাহায্যও চেয়েছে তারা৷ তাদের কথায়, ভূমিধসে গ্রামটি সম্পূর্ণ মিশে গিয়েছে মাটির সঙ্গে৷
মাটিতে মিশেছে গ্রাম
সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট' জানিয়েছে, ভূমিধসে বিধ্বস্ত গ্রামটিতে আপাতত বেঁচে রয়েছেন মাত্র একজন৷ তাদের কথায়, ‘‘প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, তারাসিন গ্রামের প্রায় সকল বাসিন্দাই প্রাণ হারিয়েছেন এই ভূমিধসে৷ মৃতের সংখ্যা এক হাজার জনেরও বেশি৷ রক্ষা পেয়েছেন স্রেফ এক জন৷'' তারা এ-ও জানিয়েছে, ধসের ফলে গ্রামটি সম্পূর্ণ মাটিতে মিশে গিয়েছে৷ বাড়ি-ঘরের কোনো চিহ্নমাত্র নেই৷ তাদের আশঙ্কা, বহু নারী-পুরুষ ও শিশুর দেহ চাপা পড়ে রয়েছে ওই ধ্বংসস্তূপে৷ দেহগুলি উদ্ধার ও ত্রাণকার্যের জন্যই আন্তর্জাতিক মানবিক সংগঠনগুলির সাহায্য চেয়েছে তারা৷
মৃতদের জন্য শোকপ্রকাশ
মঙ্গলবার সুদানের রাজধানী খার্তুমে এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করা হয়েছে ৷ প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই অঞ্চলে সাহায্য ও ত্রাণ পৌঁছনোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ধ্বংসের ছবি ও ভিডিও, তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারী বর্ষণে ধসে পড়েছে মারা পাহাড়ের একাংশ৷ ঘন কাদা ও উপড়ে যাওয়া গাছের ডালপালার নীচে চাপা পড়ে রয়েছে একটা গোটা গ্রাম৷
ক্রমশ খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি
এই নিয়ে তৃতীয় বছরে পড়লো সুদানের গৃহযুদ্ধ৷ ২০২৩ সালে শুরু হওয়া এই গৃহযুদ্ধের ফলে দেশটির খাদ্যসংকট ক্রমশ তীব্র হচ্ছে৷ দারফুর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ সংঘাতের ফলে ঠিক কত জন প্রাণ হারিয়েছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ দারফুরের উত্তরাংশে সুদানের সেনা ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে বহু সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন মারা পার্বত্য এলাকায়৷ তার মধ্যে এই ভূমিধসে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠল, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
এসটি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)