সারাহ তালবি : দুই পা যার ১০ হাতের ‘সমান’
হাত নেই বলে সারাহকে নিয়ে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না৷ লেখাপড়া করেও চাকরি না পাওয়ায় দুশ্চিন্তা আরো বেড়েছিল৷ তাদের সেই মেয়েই এখন লাখো মানুষের সাফল্যের স্বপ্ন দেখার প্রেরণা৷ সারাহ তালবিকে জানুন এই ছবিঘরে...
‘অস্মপূর্ণতাই’ তার শক্তি
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে জন্ম নেয়া সারা তালবির একটাও হাত নেই৷ তার জন্মই হয়েছে এই ‘অসম্পূর্ণতা’ নিয়ে৷ অবশ্য অন্যের চোখে অসম্পূর্ণতা হলেও হাত না-থাকার বিষয়টিকে সারাহ কোনো অসম্পূর্ণতা বা দুর্বলতা হতে দেননি৷ ছোটবেলা থেকে দুই পাকেই হাত হিসেবেও ব্যবহার করতে শিখেছেন৷ হাত দিয়ে করতে হয় এমন দৈনন্দিন কোনো কাজ নেই যা সারা পা দিয়ে করতে পারেন না৷
যা হতে চেয়েছিলেন, যা হয়েছেন
সারাহ চেয়েছিলেন অনুবাদক হতে৷ কিন্তু লেখাপড়া শেষ করার পর বেলজিয়ামে অনেক চেষ্টা করেও কোনো চাকরি পাননি৷ সবাই তার হাত না থাকাকেই যেন সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছিল৷ তাই একসময় চাকরির আশা ছেড়ে ইউটিউবার হয়ে যান সারাহ তালবি৷
তারকা সারাহ
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মূলত নানা ধরনের রান্নার ভিডিও প্রকাশ করেই তুমুল জনপ্রিয়তা পান ৪০ বছর বয়সি সারাহ তালবি৷ অল্প সময়েই তার ফলোয়ার সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়৷
‘প্রতিবন্ধিত্ব কারো পরিচয় হতে পারে না’
জন্মের সময় থেকে দুটি হাত না থাকায় সারাহ সমাজের চোখে শারীরিক প্রতিবন্ধী৷ কিন্তু এক সন্তানের ‘সিঙ্গেল মাদার’ চান তার কাজ দিয়ে সবাই তাকে চিনুক৷ সে আশা নিয়েই তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবন্ধিত্ব কখনো কারো পরিচয় হতে পারে না’’
তবুও আক্ষেপ
এক পায়ে ক্যানভাস আর অন্য পায়ে পেইন্ট ব্রাশ ধরে সারাহ দুর্দান্ত ছবিও আঁকেন, অনেকেই মুগ্ধ তার ছবি দেখে৷ সারাহ অবশ্য মনে করেন, ‘‘ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে বলেই আমরা এখন ছবির ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারছি৷’’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু লোকের কার্যকলাপ কষ্টও দেয় তাকে৷’ অনেকে বিরূপ মন্তব্য করেন, তাকে অনুকরণ করে হাসাহাসি করেন- এসব তাকে খুব কষ্ট দেয় বলেও জানান সারাহ তালবি৷