বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো গো-বলয়ের রাজ্যে অস্পৃশ্যতা সংক্রান্ত খবর স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও সামনে আসে। পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের ঘটনার কথা বিশেষ শোনা যায় না। রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, নজরুল থেকে লালন ফকিরের চর্চা ও বাণীতে 'জাতের নামে বজ্জাতি'র বিরুদ্ধে বার্তা রয়েছে। স্বাধীনতার পরে দীর্ঘ সময়ে পশ্চিমবঙ্গে বাম আন্দোলন ও শাসনের ইতিহাসও রয়েছে। তবু এই বাংলায় জাতপাতের ভেদাভেদ রয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এ রাজ্যে দলিত আন্দোলন হয়েছে। মতুয়া সম্প্রদায় হিন্দুদের একটি বিশেষ গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের সংহত করেছে।
মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী রঞ্জিত শূর বলেন, "আমাদের সমাজে বিক্ষিপ্তভাবে ভেদাভেদের ঘটনা ঘটে। সবসময়ে তা প্রকাশ্যে আসে না। পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায় বিষয়টা প্রকাশ্যে এসেছে। এখানে যা হয়েছে, সেটা উচ্চবর্ণের বিরুদ্ধে নিম্নবর্ণের এক ধরনের বিদ্রোহ। তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শোষণের শিকার। অর্থনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করতে না পারলেও সামাজিক নিপীড়নের প্রশ্নে দলিতরা রুখে দাঁড়িয়েছেন।"