সাউথ আফ্রিকায় ‘মানবজাতির দোলনা’
মানব জাতির সবচেয়ে প্রাচীন জীবাশ্ম বা ফসিল পাওয়া গিয়েছিল সাউথ আফ্রিকার দ্য স্টের্কফন্টেইন গুহায়। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ এই গুহাটি পুনরায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
সাংকেতিক নিশানা
ছোট একটি নিশানা, যা দেখে দর্শনার্থীরা বুঝতে পারবেন সেখানে রয়েছে প্রবেশদ্বার। ১৯৯৯ সাল থেকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত মানব জাতির সবচেয়ে প্রাচীন জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছিল জোহানসবার্গের পার্শ্ববর্তী এই গুহাটিতে।
অন্ধকারের প্রবেশদ্বার
সিঁড়ি বেয়ে নির্বিঘ্নে দর্শনার্থীরা ঢুকে যেতে পারবেন অন্ধকার ও স্যাঁতস্যাঁতে গুহায়। কিন্তু তারপরও তাদের সুস্থতা ও সাহস প্রয়োজন। সরু, নিচু টানেলের মধ্যদিয়ে বেশ কসরত করে যেতে হবে দর্শনার্থীদের।
সরু প্রবেশপথ
ট্যুর গাইড ক্যানেথ মাভিটে কুঁজো হয়ে সিড়ি দিয়ে ঢুকছেন গুহার ভেতর। আফ্রিকান ভাষায় দ্য স্টের্কফন্টেইন নামের অর্থ 'শক্তিশালী বসন্ত'। এই জায়গা থেকেই ট্যুর গাইডরা দর্শনার্থীদের সঙ্গে নিয়ে গুহার ভেতরে প্রবেশ করেন।
মানবজাতির দোলনা
এই গুহাটি ‘মানবজাতির দোলনা’ হিসেবেও পরিচিত। আধুনিক মানুষের আদি পুরুষদের বেশ কিছু নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে এখানে। ৩০ লাখ বছরের চেয়েও পুরাতন ‘লিটল ফুট’ নামের প্রায় সম্পূর্ণ একটি কঙ্কাল পাওয়া গেছে।
'লিটল ফুট' প্রকল্প
দর্শনার্থীরা কুরগারসডরফ জাদুঘরে অস্ট্রালোপিথেকাস প্রমিথিউস-এর লিটল ফুট নামের একটি কঙ্কাল দেখতে পারেন। গুহার শক্ত পাথর খুঁড়ে এই কঙ্কালটি বের করতে প্রায় ১৫ বছর সময় লেগেছিল। আর পুরো কাজটিই করতে হয়েছে হাতের সাহায্যে।
একনজরে পুরো গুহা
সম্পূর্ণ গুহাটি প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। দর্শনার্থীরা শুধুমাত্র একটি ছোট ও নিরাপদ অংশে প্রবেশ করতে পারেন। আজ পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে খনন করার সময়ে কয়েকজন ভূতত্ত্ববিদ সেখানে আটকে গেলে তাদের দড়ির সাহায্যে নিরাপদে উদ্ধার করে আনা হয়।