সাইক্লোনে তছনছ আফ্রিকার তিন দেশ, মৃত চারশ
মোজাম্বিক, মাদাগাস্কার ও মালাভিতে সাইক্লোন ফ্রেডির তাণ্ডবে অন্তত ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
দক্ষিণ মালাভি এবং মোজাম্বিক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে মাদাগাস্কারেও। প্রাথমিক খবর যা পাওয়া গেছে তাতে তিন দেশে অন্তত ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যত দিন যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।
প্রচুর মানুষ ঘরছাড়া
শুধু মালাভিতে অন্তত ৮৮ হাজার মানুষ ঘরছাড়া বলে মনে করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত দক্ষিণ মালাভিতে ১৬৫টি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মালাভি থেকে পাওয়া শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী সেখানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩২৬ জনের। মোজাম্বিক জানিয়েছে এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০। মাদাগাস্করে মৃত বেড়ে ২৭। উপরের ছবিটি মোজাম্বিকের।
গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস
মালাভিতে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। ধস নেমে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। ঝড়ের দাপটে রাস্তা ভঙে গেছে, ব্রিজ ধসে পড়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে এখনো পৌঁছানোই সম্ভব হয়নি। মোজাম্বিকের ছবি।
বহুদিন ধরে ধ্বংসলীলা
এত ভয়ংকর সাইক্লোন বহুকালের মধ্যে দেখেনি আফ্রিকা। ৩৫ দিনে মোট আট হাজার কিলোমিটার চলেছে এই ঝড়। চলার পথে স্থলভাগে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়ে ফের জলভাগে গিয়ে শক্তিবৃদ্ধি করেছে ঝড়টি। সাধারণত, এমনটা দেখা যায় না। এবং এ কারণেই ঝড়টি এতদিন সচল ছিল।
প্রথমে মাদাগাস্কার
ভারত মহাসাগর থেকে ঢুকে ঝড়টি প্রথম আঘাত করে মাদাগাস্কারের ভূপৃষ্ঠে। সেখান থেকে তা মোজাম্বিকের দিকে যায়। মোজাম্বিকে তাণ্ডব চালিয়ে ঝড়টি ফিরে যায় মোজাম্বিকান সমুদ্রের গরম জলে। ফের শক্তিবৃদ্ধ হয় সাইক্লোনের। সেখান থেকে দক্ষিণ মোজাম্বিক এবং মালাভিতে আছড়ে পড়ে সাইক্লোনটি। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফল
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এত ভয়ংকর ঝড় দেখা যাচ্ছে। ঝড়ের প্রকৃতি বদলাচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ ঝড় আরো হওয়ার আশঙ্কা আছে বলেও তারা মনে করছেন।