সাইকেলে করে ১০০ দিনে ইটালি থেকে চীন
২ এপ্রিল ২০২৫১২৭১ সালে শুরু করে ভেনিস থেকে চীন যেতে মার্কো পোলোর তিন বছর লেগেছিল৷ সেই একই পথ সাইকেলে করে ১০০ দিনে পাড়ি দিয়েছেন ভেনিসের দুই বাসিন্দা ৬৪ বছরের আলবার্তো ও ৬৭ বছরের দিনো৷
যাত্রা শুরুর আগে সাইক্লিস্ট ও ইতিহাসবিদ আলবার্তো ফিওরিন বলেন, ‘‘এই যাত্রার মাধ্যমে আমরা আমাদেরই একজনকে সম্মান জানাতে চাইছি৷ আমরা তার পথেই যাব৷ বর্তমানে সিল্ক রোড দেখতে কেমন তার একটি ধারাবিবরণী দিব আমরা৷''
একেকজন মাত্র দুটি ব্যাগ আর সাইকেলে একটি ক্যামেরা লাগিয়ে দুই বন্ধু সিল্ক রোডের ইউরোপীয় প্রবেশদ্বার ভেনিস থেকে যাত্রা শুরু করেন৷
পুরো যাত্রার ভিডিও ডায়রি করেছেন তারা৷
খুব সতর্কতার সঙ্গে তাদের রুট পরিকল্পনা করতে হবে৷ কারণ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার যুগে নিরাপত্তা সবার আগে৷
আলবার্তো বলেন, ‘‘যুদ্ধের বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়েছে৷ আমাদের অবশ্যই রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে হয়েছে৷ ইউক্রেনকেও এড়িয়ে চলতে হয়েছে৷ আর এই সময়ে ইরানে যাওয়াও ঠিক নয়৷''
কিছু দেশে ঢোকা যাবে কিনা তা নিশ্চিত ছিল না৷ প্রায়শই অনেক দেরি হয়েছে৷ যেমন আলবার্তো বলেন, ‘‘আমরা চীনে ঢোকার চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না৷ এর আগে এক জায়গায় গিয়েছিলাম যেখানে শুধু একটা হাইওয়ে ছিল৷ তারা আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে৷ তাই আমাদের ২৫ কিলোমিটার ঘুরে আরেকটা হাইওয়েতে আসতে হয়েছে৷ দেখা যাক, এবার কাজ হয় কিনা৷ আশা করছি, কাজ হবে৷''
অবশেষে ১০০ দিন যাত্রার পর তারা গন্তব্যে পৌঁছান৷ তারা বেইজিংয়ে ডিডাব্লিউর প্রতিবেদকের কাছে অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে কথা বলেন৷
আলবার্তো বলেন, ‘‘আপনি যখনসাইকেলে করে এভাবে ভ্রমণ করেন তখন আপনি বুঝতে পারেন যে, মানুষ যা ভাবে তার চেয়েও দুনিয়াটা সুন্দর, কারণ, মানুষ আমাদের সাহায্য করেছে৷ এমনকি আজকেও তিনটার সময় একজন অপরিচিত লোক আমাদের থামিয়ে দুই বোতল পানি দিয়েছেন- যেমনটা আপনিও দিয়েছেন, কারণ আমরা পানিশূন্য ছিলাম৷ মানুষ আমাদের অনেক সাহায্য করেছে৷ আমরা এটাই শিখেছি৷''
তিনি বলেন, ‘‘ভ্রমণের সময় আপনাকে অবশ্যই নিরহঙ্কার থাকতে হবে, আপনাকে অন্যদের কাছাকাছি যেতে হবে, তাদের রুচি ও খাবার ভাগ করে নিতে হবে৷ যেমন আমাদের চাইনিজ খাবার খেতে হচ্ছে, যা আসলে আমাদের মতো নয়, আমরা তাতে অভ্যস্তও নই৷ কিন্তু ভ্রমণ মানে এটাই৷''
মেলানি মাটেউস/জেডএইচ