সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধে ইউরোপের ডুবুরিদের উদ্যোগ
ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত সামুদ্রিক পার্ক হিসেবে পরিচিত গ্রীসের আলনিসোস দ্বীপ। তবে সমুদ্রের এই নীল জলরাশির নিচে তীব্রভাবে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। তা নিয়েই আমাদের ছবিঘর
বাড়ছে দূষণ
স্বেচ্ছাসেবী ডুবুরিরা আলনিসোস দ্বীপের সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। ইস্টার্ন এগিয়ান সাগরের আলনিসোস দ্বীপটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এটি ইউরোপের সবচেযে বড় সংরক্ষিত সামুদ্রিক পার্ক হিসেবেও পরিচিত। তবে এই বিপুল জলরাশির নিচে দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে।
নিস্তার মিলছে না প্লাস্টিক থেকে
আলনিসোর দ্বীপটি বিশ্বে টিকে থাকা মঙ্ক সীলদের একমাত্র বাসস্থান। এছাড়াও এখানে প্রায় ৩০০ প্রজাতির মাছ, ডলফিন ও সামুদ্রিক কচ্ছপ রয়েছে। তবে সমুদ্রের তলদেশেও নিস্তার মিলছে না প্লাস্টিক থেকে। পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিক ও কাঁচের বোতল জমে আছে সমুদ্রের তলদেশেও।
সংগ্রহ করা হচ্ছে নানাবিধ আবর্জনা
ডুবুরিরা সমুদ্রের তলদেশে পাওয়া নানা ধরনের আবর্জনার নমুনা সংগ্রহ করে বস্তাবন্দি করছেন উপরে নিয়ে আসার জন্য। প্লাস্টিকের বোতল, কাঁচের বোতলের পাশাপাশি বিচিত্র ধরনের জিনিসেরও দেখা মিলছে পানির নিচে।
আবর্জনা তোলা হচ্ছে নৌকায়
আলনিসোস দ্বীপের ভোতসি বন্দরে একটি নৌকা নোঙর করে রাখা আছে। স্বেচ্ছাসেবী ডুবুরিরা সমুদ্রের তলদেশ থেকে আবর্জনার নমুনা এনে সেই নৌকায় বোঝাই করে রাখছেন।
একটি জুতো ও সমুদ্র
দেখে মনে হতে পারে ঘরের ভেতরে এক্যুয়ারিমের মধ্যে সাজিয়ে রাখা কোনো দামি বস্তু। কিন্তু কোনো এক পর্যটক হয়তো সমুদ্র দেখতে এসে হারিয়েছিলেন তার একটি জুতো। সেটিই স্থির হয়ে বসে আছে সমুদ্রের তলদেশের বালিকণার উপর।
স্বেচ্ছাসেবায় জনসচেতনতা
সমুদ্রের সৌন্দর্যে আমরা সবাই বিমোহিত হই। তবে পর্যটকরা যেন সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেয়ে পরিবেশ দূষণ না করেন সে লক্ষ্যেই স্বেচ্ছাসেবী ডুবুরিরা এই জনসচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।