সমালোচনার মধ্যেই বিতর্কিত এনজিও আইন পাশ করলো স্লোভাকিয়া
১৭ এপ্রিল ২০২৫দেশের এনজিওদের টাকার উৎস কোথায় এবং মূল টাকা কারা দিচ্ছে সে বিষয় সরকারকে হিসেব দাখিল করতে হবে। বুধবার স্লোভাকিয়ায় এই আইন পাশ করলো সেই দেশের সরকার। না মানলে জরিমানা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে এই নতুন আইনে।
এই আইন প্রণয়নের ফলে স্বচ্ছতা আসবে বলে দেশের প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিক দাবি করলেও সমালোচকদের মতে এর ফলে খর্ব হবে নাগরিক সমাজের ভূমিকা।
এই আইনের বিরোধিতায় এপ্রিলের গোড়ার দিকে সারা দেশ ব্যাপী প্রতিবাদ হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেই রাজধানী ব্রাতিস্লাভা-সহ অন্যান্য শহরে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে নামেন। শেষ পর্যন্ত বেশ কিছুটা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
বিতর্কিত এনজিও আইন
বিরোধীদের দাবি এই 'রাশিয়ান আইন' সরকারের সমালোচকদের মুখও বন্ধ করতে ব্যবহার করা হবে। দেশের অন্যতম প্রাচীন সামাজিক সংস্থা ভায়া ইউরিসের প্রধান কাটারিনা বাটকোভা বলেন, "কেবলমাত্র রাশিয়ার অনুকরণেই না, বরং সেদেশের অনুপ্রেরণায় এই আইন তৈরি হয়েছে বলে আমরা একে 'রাশিয়ান আইন' বলছি। ইইউ আইনের থেকে এটি আলাদা।"
চূড়ান্ত ভোটের আগে এই বিলের খানিক পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় সরকার। প্রাথমিক বিল অনুযায়ী এনজিওদের 'লবিস্ট গ্রুপ' বা 'বিদেশি এজেন্ট' হিসেবে চিহ্নিত করার কথা বলে হয়। ইউরোপিয়ান কমিশনের সমালোচনার পরে তা পরিবর্তিত হয়।
সংসদের বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী জানান, "এই আইন রাশিয়ারও নয়। অ্যামেরিকারও নয়। ইউরোপের।"
জর্জিয়াতেও একই রকম বিল পাশ করা নিয়ে বিতর্ক হয়। সেখানেও বিরোধীরা রাশিয়ার প্রসঙ্গ তুলে এনে সমালোচনা করে। ক্রেমলিনে ২০১২ থেকে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। অনেকের মতে রাশিয়াতে এই আইনের মাধ্যমে বিরোধী স্বর চেপে দেওয়া হয়।
এনজিওর উপর নিয়ন্ত্রণ
রাশিয়াপন্থি রাজনীতির জন্য ডিসেম্বর থেকেই সমালোচিত হচ্ছে স্লোভাক সরকার।
প্রেসিডেন্ট পিটার পেলেগ্রিনি সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ না করলে এই নতুন আইন ১ জুন থেকে লাগু হবে।
এসসি/এসজি (রয়টার্স, এএফপি)