শিশুদের সেনা হিসেবে নিয়োগ নয়: জাতিসংঘ
১৩ জুলাই ২০১১নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি দেশ জার্মানির প্রস্তাব ছিল এটি৷
যেসব দেশে অল্প বয়সি শিশুদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এবং শিশুদের উপর আক্রমণ হচ্ছে সেসব দেশকে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন ভবিষ্যতে শিশুরা যেন একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে পারে সেজন্য তাদের নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করা প্রয়োজন৷
ইউনেস্কোর হিসেবে ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ - এই দশ বছরে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের কারণে প্রায় ২০ লক্ষ শিশু নিহত হয়েছে৷ আর আহত হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ শিশু৷ এছাড়া প্রায় তিন লক্ষ শিশুকে সৈনিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ আর শিশুদের উপর যৌন নিপীড়ন তো চলছেই৷
এদিকে ২০ বছর আগে শিশু অধিকার বিষয়ে জাতিসংঘ একটি কনভেনশন পাশ করেছিল৷ তাতে শিশুদের বিরুদ্ধে করা ছয়টি অপরাধকে ‘যুদ্ধাপরাধ' হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে শিশুদের সেনা হিসেবে নিয়োগ, তাদের হত্যা বা যৌন নির্যাতন করা ইত্যাদি৷ আর নতুন প্রস্তাবের কারণে স্কুল বা হাসপাতালের মতো যেসব জায়গায় শিশুরা থাকে সেখানে হামলা চালানোর ঘটনাকেও এই অপরাধগুলোর সঙ্গে যোগ করা হবে৷
যেসব দেশে এই ঘটনাগুলো ঘটবে তাদেরকে এই কনভেনশনের আওতায় কালো তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে৷
জাতিসংঘে জার্মানির রাষ্ট্রদূত পেটার ভিটিশ বলেন, আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, এটা কোনো কঠোর শাস্তি নয়৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, কালো তালিকাভুক্ত দেশগুলোর উপর সেটা কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে৷ সেজন্য যেসব দেশের নাম তালিকায় ওঠে তারা সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়৷ উদাহরণ হিসেবে তিনি আফগানিস্তানের কথা বলেন৷ ভিটিশ সম্প্রতি ঐ দেশ সফর করেছেন৷ তিনি বলেন, তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলতে আফগান সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে৷
জানা গেছে, কালো তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশগুলোকে একটা অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করতে হবে এবং সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, যুদ্ধাক্রান্ত নয়টি অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৫টি অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক