‘শিক্ষার্থী ভর্তিতে এমপি কোটা ভাল ফল আনবে না’
২৬ ডিসেম্বর ২০১১এদিকে ভর্তির ক্ষেত্রে এরকম কোটা পদ্ধতির বিরোধিতা করে শিক্ষাবিদরা বলছেন, এতে মেধাবীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে এবং তা হবে ক্ষমতার অপব্যবহারের শামিল৷ অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, আইনপ্রণেতাদের কথা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিৎ৷
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, শিক্ষাবোর্ড, স্কুলের শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীর সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল৷ এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে সংসদ সদস্যদের জন্য আরো দুই শতাংশ কোটা৷
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর পরামর্শ সংসদ সদস্যরা ভর্তি তদবিরের চেয়ে বিদ্যালয়গুলোর মান উন্নয়নের দিকে নজর দিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হবে৷ তিনি মনে করেন, গোটা বিষয়টিই একটি অবাঞ্ছিত ব্যাপার৷ এমনিতেই সংসদ সদস্যদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর একটা খবরদারি থাকে৷ তার ওপর কাগজে কলমে কোটা দিলে তা ভালো ফল বয়ে আনবে না৷
আরেকজন শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীম আহমেদ মনে করেন, সর্বক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির সংকোচন করে মেধার মূল্যায়ন করা প্রয়োজন৷ তিনি মনে করেন, এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে কিছুদিন পর জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরা কোটা দাবি করবেন৷
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানালেন, বিষয়টা মোটামুটি চূড়ান্ত৷ আগামী সোমবার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷ তিনি বলেন, এটা আমরা মূল নীতিমালার মধ্যে রাখি নি৷ কিন্তু সংসদ সদস্যরা মানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দাবি করেছেন এটা রাখতে হবে৷ তারা সিদ্ধান্ত নিয়েই সুপারিশ করেছেন, ফলে এটা আমাদের রাখতে হবে, আমরা তাদের সুপারিশ রাখব৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক