বন্ধ হচ্ছে না কোচিং ব্যবসা
৩০ জানুয়ারি ২০১৩শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসা বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিমালা প্রণয়ন করে গত বছরের জুন মাসে৷ এ নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক তাঁর প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং করাতে পারবেন না৷ আর অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একদিনে সর্বোচ্চ ১০ জনকে কোচিং করাতে পারবেন৷ তবে তা প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে৷ এই নীতিমালা ভঙ্গের জন্য চাকরিচ্যুতিসহ নানা শাস্তিরও বিধান রাখা হয়েছে৷ কিন্তু তাতে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি৷ যা ডয়চে ভেলেকে জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু৷
রাজধানীর নামিদামি স্কুলের শিক্ষকরাই এই কোচিং ব্যবসার সঙ্গে বেশি জড়িত৷ তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং-এ বাধ্য করেন বলেও অভিযোগ৷ ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অধ্যক্ষ মো. শামসুল হক বলেন, তাঁরা নীতিমালা মেনে চলার জন্য সব শিক্ষককে বলেছেন৷
মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নীতিমালা ঠিক মতো মানা হচ্ছে না৷ বন্ধ হচ্ছে না কোচিং ব্যবসা৷ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন এই নীতিমালা বাস্তবায়নের৷ তবে এতে একটু সময় লাগবে৷
জানা গেছে, কোচিং বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে গত মাসে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের ২৮ জন শিক্ষককে শাস্তি দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু ইনক্রিমেন্ট স্থগিতের মতো মামুলি শাস্তিতে তাঁরা দমেন নি৷ অব্যাহত রেখেছেন কোচিং ব্যবসা৷