শর্তে মুক্তি নেবেন না খালেদা জিয়া
২২ আগস্ট ২০০৮খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, শর্ত আরোপ করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তি বিলম্বিত করা হচ্ছে৷ কিন্তু বেগম জিয়া কোন শর্ত মেনে, সমঝোতা করে মুক্তি নেবেন না৷ এখন সন্তানকে জিম্মি করে মায়ের মনকে দুর্বল করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ জনগণ এই অন্যায় ও পক্ষপাত আচরণ কখনই মেনে নেবে না৷
সরকার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি বৈরী আচরণ করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের মুক্তি দিয়ে শুধু বিদেশ পাঠানোই নয়, কথা বলারও সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷ অথচ, অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে৷ তারেক রহমান মুমূর্ষু৷ মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ সত্ত্বেও সরকার কেন তাকে বিদেশ পাঠাচ্ছে না- এটাই জাতির কাছে বিরাট প্রশ্ন৷
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোন্দকার দেলোয়ার এসব কথা বলেন৷ তিনি বলেন, আজ এই সরকার জাতির জীবনে বিরাট বোঝা হয়ে পাথরের মতো বসে আছে৷ এই পাথরকে সরাতে হবে৷
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চারদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসুচিতে কি নগ্ন আচরণ করা হয়েছে তা দেশবাসী দেখেছে৷ অথচ, ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার স্মরণে অন্যরা মাইক দিয়ে সমাবেশ করেছে৷
খোন্দকার দেলোয়ার বলেন, চারদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে আধিপত্যবাদী সাম্রাজ্যবাদীদের পছন্দ মতো তাঁবেদার সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়ে লুটপাট করতে চায় এই সরকার৷ তিনি সকল জাতীয়তাবাদী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান৷
এর আগে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র৷ এমনকি প্রধান উপদেষ্টা নিজেও বলেছেন, সরকার শর্তহীনভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে আগ্রহী৷ প্রকাশ্যে উপদেষ্টারা এমন বক্তব্য দিলেও বাস্তবে কয়েকটি শর্ত নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারের দর কষাকষি চলছে৷ শর্তের মধ্যে রয়েছে মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে সংলাপে বসতে হবে৷ অংশ নিতে হবে আগামী সব নির্বাচনে৷