রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা হবে মাথাপিছু ১২ ডলার
২৭ মার্চ ২০২৫তবে জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ডব্লিউএফপি এক চিঠিতে নতুন সিদ্ধান্তে এই সহায়তা মাথাপিছু ১২ ডলার করার কথা জানিয়েছে। ডিডাব্লিউর কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক ১২ ডলার ও ভাসানচরে অবস্থানরতদের জন্য ১৩ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে যে তারা জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন ডলারের নতুন আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। তবে আন্তর্জাতিক অংশীদারদেরও এই 'বোঝা' ভাগ করে নেয়ার ওপর জোর দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, "ডাব্লিউএফপি এর মাধ্যমে এই খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা দশ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের এই ধরনের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার বোঝা ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত।'
এমন এক সময়ে এই অনুদানটি দেয়া হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট' নীতির অংশ হিসাবে বিদেশি সহায়তায় ব্যাপক কাটছাঁট এবং ফেডারেল ব্যয় ব্যাপকভাবে কমাতে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের দুটি সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছিল যে তহবিল ঘাটতি দেখা দিলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য রেশন সীমিত করতে হতে পারে। শরণার্থীরাও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, সহায়তা হ্রাসের ফলে ক্ষুধা আরও বাড়বে, গুরুতর স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি দেখা দিবে এবং অপরাধ বাড়বে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সর্ববৃহৎ সহায়তা প্রদানকারী দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় দুই দশমিক চার বিলিয়ন ডলার সহায়তা করেছে দেশটি। কিন্তু জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর সাম্প্রতিক তহবিল স্থগিত করার ফলে অন্তত পাঁচটি হাসপাতাল পরিষেবা কমাতে বাধ্য হয়েছে।
ট্রাম্প এবং তার বিলিয়নেয়ার মিত্র ইলন মাস্ক দেশটির প্রধান বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি বন্ধ করে দিয়েছেন এবং এর অবশিষ্টাংশকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একীভূত করেছেন। শত শত কর্মী ও ঠিকাদারকে বরখাস্ত এবং কোটি কোটি ডলারের পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ ইউএসএআইডির সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউএসএআইডি বন্ধের প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানকারী ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্যও পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার প্রস্তাব করেছিলেন।
এডিকে/এসিবি (রয়টার্স, দ্য ডেইলি স্টার)