রাশিয়ার উপর শাস্তিমূলক শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প
১৫ জুলাই ২০২৫ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এর আগেও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে অ্যামেরিকা। কিন্তু শেষপর্যন্ত রাশিয়া এবং ইউক্রেন সহমত হতে পারেনি। ইউক্রেন বার বার রাশিয়ার বিরুদ্ধে চুক্তি ভেঙে আক্রমণের অভিযোগ এনেছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার উপর শাস্তিমূলক শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার তিনি বলেছেন, রাশিয়াকে ৫০ দিন সময়সীমা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার সমাধানসূত্রে না পৌঁছালে রাশিয়ার উপর শুল্কের বোঝা চাপানো হবে। বস্তুত, গত এক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাত ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই পরিস্থিতিতেই চরম বার্তা দিলেন ট্রাম্প।
এদিকে সোমবারই কিয়েভে পৌঁছেছে অ্যামেরিকার বিশেষ দল। ইউক্রেনের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবে তারা। পাশাপাশি মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞাও জারি করতে পারে তারা। বস্তুত, আগেই অ্যামেরিকা জানিয়ে দিয়েছিল, ইউক্রেনকে তারা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে। কিয়েভের আলোচনায় এই বিষয়টিও গুরুত্ব পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার ওভাল অফিসে ন্যাটোর সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। তারপরেই তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া যে পথে হাঁটছে, তা বরদাস্ত করা যায় না। ৫০ দিনের মধ্যে রাশিয়া যুদ্ধের ব্যবস্থা না করলে তার বিরুদ্ধে ১০০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হবে। শুধু তা-ই নয়, রাশিয়ার সঙ্গে যে দেশগুলি বাণিজ্য করে, তাদের উপরেও ১০০ শতাংশ শুল্ক ধার্যের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে দ্রুত প্যাট্রিয়ট মিসাইল দেওয়া হবে।
ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি
এদিকে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কথায়, ''প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইউক্রেনের মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি তিনি দেখেছেন।''
ট্রাম্প-পুটিন সম্পর্ক
প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়ে ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠেছিল ট্রাম্পের। রাশিয়া এবং অ্যামেরিকা অনেকটাই কাছাকাছি এসেছিল। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়ে পুটিনের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন ট্রাম্প। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না করলে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের শুল্ক-ঘোষণা পরিস্থিতি আরো কঠিন করে তুললো বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এসজি/এসসি (রয়টার্স, এপি