রামমন্দিরের অযোধ্যায়
অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে ২২ জানুয়ারি। প্রস্তুত অযোধ্যা। জনকপুরে সীতার বাড়ি থেকেও জিনিস এসে গেছে।
অযোধ্যা রামময়
অযোধ্যার রাস্তায় এখন শ্রীরামের ছবির বন্যা, ফ্লাইওভার, রাস্তার ধারে, বিভিন্ন বাড়িতে, পোস্টার, গ্রাফিটিতে ছেয়ে আছেন শ্রীরাম ও রামায়ণের কিহিনি। তবে শ্রীরামের পরই যার ছবি সবচেয়ে বেশি শোভা পাচ্ছে, তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২২ জানুয়ারি মোদীই রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন।
সীতার বাড়ি থেকে
এই যে কলসিগুলো দেখছেন, সেগুলি এসেছে জনকপুর থেকে। সীতার দেশ থেকে অযোধ্যায় এসে পৌঁছেছে ঘি, বিভিন্ন কুণ্ডের জল এবং আরো অনেক কিছু। রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এগুলি ব্যবহৃত হবে।
দুই হাজার চারশ কিলোর ঘণ্টা
অষ্টধাতুর তৈরি এই ঘণ্টার ওজন দুই হাজার চারশ কিলোগ্রাম। এসেছে বিজনোর থেকে। এভাবেই ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে নানান জিনিস। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছে সুন্দবরনের মধু। এই ঘণ্টা মন্দির চত্বরে লাগানো হবে।
নারী ভক্ত
অযোধ্যার রাস্তায় চোখে পড়বে এই নারী ভক্তদের। কপালে শ্রীরাম লেখা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা এসেছেন এবং আসছেন।
মহারাষ্ট্র থেকে আসা নারীরা
এই নারীরা মহারাষ্ট্র থেকে এসেছেন। উদ্দেশ্য রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামিল হওয়া। কাজ করা। তাদের যে কাজ দেয়া হবে, সেটাই তারা করবেন। তবে কবে তারা মন্দিরে ঢুকতে পারবেন তা জানেন না। কারণ, ২২ তারিখ মন্দিরে ঢোকার ক্ষেত্রে খুবই কড়াকড়ি তাকবে।
সাইকেল করে
উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাইকেলে করে প্রচুর মানুষ এসেছেন অযোধ্যায়। ছবিতে যে যুবককে দেখা যাচ্ছে, তিনি এসেছেন কানপুর থেকে। সঙ্গে ছোট একটা ব্যাগ। তাছাড়া আছে পতাকা ও ফুল।
অযোধ্যার পেড়া ও লাড্ডু
মন্দিরের আশপাশের এলাকা তো বটেই, গোটা অযোধ্যা জুড়ে এখন অসংখ্য পেড়া ও লাড্ডুর দোকান। ২২ তারিখের পর থেকে মানুষের ঢল নামবে মনে করে, প্রতিটি দোকানে প্রচুর পেড়া ও লাড্ডু বানিয়ে রাখা হচ্ছে। এই দেশি ঘিয়ে তৈরি বেসনের লাড্ডু থাকেও অনেকদিন।
রঘুপতি রাঘব
তখন সবে সন্ধ্যা নেমেছে। সেই সময় অযোধ্যা মন্দিরের দরজার কাছ থেকে শুরু হলো এই নাচ ও গান। রঘুপতি রাঘব রাজারাম, পতিত পবন সীতারাম-- গান্ধীজির অতি প্রিয় এই গান গাইতে গাইতে এবং নাচতে নাচতে এগিয়ে চললো দলটি। আর নাচে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন নেপাল থেকে আগত এই অতিথি।
সামিল কিন্নররা
অযোধ্যার এই অনুষ্ঠানে সামিল কিন্নররাও। শুক্রবার বিকেলে তাদের একটি বড় দল অযোধ্যায় ঘুরলেন। তাদের কপালেও লেখা ছিল শ্রীরাম। তারা বললেন, রামমন্দিরের এই উৎসবে তারাও সামিল হয়েছেন। তারা তাদের আনন্দের কথা জানাচ্ছেন।
কড়া নিরাপত্তা
অযোধ্যায় এখন কড়া নিরাপত্তা। শহর মুড়ে পালা হয়েছে নিরাপত্তার বেড়াজালে। দাঙ্গাবিরোধী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। তাছাড়া আছে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য়ের সশস্ত্র পুলিশ ও লাঠিধারী পুলিশের দল। বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড লাগানো আছে।
বদলের অযোধ্যা
এই রাস্তাই চলে গেছে রামমন্দিরের দিকে। দুইপাশের দোকান নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। তাতে নতুন রং লাগানো হয়েছে। রাজদ্বার মন্দিরের উপর থেকে তোলা ছবিতে ধরা পড়লো সেই বদলে যাওয়া অযোধ্যার একটুকরো ছবি।
দুই পতাকার মাঝখানে
দুই পতাকার মাঝখানে দেখা যাচ্ছে তাকে। মাঝেমধ্য়ে এই পতাকার ডাণ্ডায় কাম়ড়ও বসাচ্ছেন তিনি। তবে তার দুষ্টুমিতে কেউ বিরক্ত হয় না অযোধ্যায়।
অযোধ্যা-জুড়ে
অযোধ্যা-জুড়ে দেখা যাচ্ছে নানান ধরনের, নানান সম্প্রদায়ের সাধুদের।
পতাকায় পতাকায়
অযোধ্যা-জুড়ে ছড়িয়ে আছে এই পতাকা। প্রচুর দোকানেও তা বিক্রি হচ্ছে। মন্দির উদ্বোধনের আগে এই পতাকার চাহিদা তুঙ্গে।