গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ সেই মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আজীবন কারাবাসের সাজা দিয়েছিল শিয়ালদহ আদালত৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায় রাজ্য৷
আইনজীবী ফিরদৌস শামীম এ বিষয়ে ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘এই মামলায় রাজ্যের কোনো ভূমিকা থাকারই কথা নয়৷ তার কারণ রাজ্যের অধীনস্থ পুলিশ প্রথমেই তদন্ত শুরু করেছিল, সেই তদন্ত সঠিকভাবে হচ্ছিল না বলেই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দিয়েছিল৷ তারপর রাজ্যের কি এমন আগ্রহ রয়েছে যে, অপরাধীকে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে?''
এর নেপথ্যে অন্য কারণ আছে বলে দাবি শামীমের৷ বলেন, ‘‘রাজ্য কি কাউকে ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়ে অন্য কাউকে বাঁচাতে চাইছে? সিবিআই প্রথম চার্জশিটে কলকাতা পুলিশের একজনের নাম দিয়েছিল যিনি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত, তিনি সাক্ষ্য লোপাট করেছেন৷ তিনি টালা থানার ওসি৷ সিবিআই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট দিতে পারেনি, ফলে তিনি ছাড়া পেয়েছেন৷ রাজ্য ঠিকভাবে তদন্ত করতে পারিনি বলেই তো সেই দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে৷ তাহলে রাজ্যের এত আগ্রহ কিসের দোষীকে ফাঁসির শাস্তি দেওয়ার জন্য?''
তৃণমূল নেতৃত্ব বারবার বলেছেন, সঞ্জয় রায়কে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল৷ সেই সঞ্জয়কে সাজা দিয়েছে আদালত৷ কোনো প্রমাণ লোপাট করা হয়নি৷ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে৷ তাদের প্রশ্ন, সিবিআই তদন্ত করেছে, তার ভিত্তিতে আদালত রায় দিয়েছে, এতে রাজ্যের ভূমিকা কোথায়? বরং সব স্তরে রাজ্যের আইনজীবী সর্বোচ্চ শাস্তির কথাই বলেছেন৷