যুদ্ধ থামাতে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে জনগণের বিক্ষোভ
২৭ মার্চ ২০২৫ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের অবসান হোক। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খোঁজা হোক, এই দাবিতে বুধবার গাজার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে যোগ দিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। তাদের অভিযোগ, হামাস যুদ্ধ থামাতে ষথেষ্ট তৎপর নয়।
গাজার উত্তরে বেই লাহিয়াতে মঙ্গলবার প্রথম এমন বিক্ষোভ কর্মসূচি সংঘটিত হয়। বুধবারও দেখা গেল মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। এপি সংবাদসংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রায় তিন হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। বুধবারও মানুষের সংখ্যা কম ছিল না। হামাসের পতন চেয়ে স্লোগান দিয়েছেন তারা। অভিযোগ, সংঘর্ষ বন্ধ করার বিষয়ে হামাস যথেষ্ট সক্রিয়া নয়।
বুধবার উত্তর গাজার অন্যান্য অঞ্চলেও বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। সেখানে কোনো কোনো পোস্টারে লেখা ছিল-- 'হামাস আমাদের প্রতিনিধি নয়'। উল্লেখ্য, চলতি লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর গাজা। কার্যত গোটা এলাকা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েল সেখানে নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ অত্যন্ত বিরল।
হামাসের মুখপাত্র নিহত
হামাসের মুখপাত্র আবদুল লতিফ আল-কানাউওয়া ইসরায়েলের আক্রমণে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি উত্তর গাজায় জাবালিয়া শহরে একটি শিবিরে ছিলেন বলে হামাসের মুখপত্র জানিয়েছে। ইসরায়েলের আক্রমণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেহাব সংবাদ সংস্থা। হামাস এই সংবাদ সংস্থাটি চালায়।
এদিকে স্থানীয় হাসপাতাল জানিয়েছে, ওই ক্যাম্পের আরো বহু বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। যদিও চিকিৎসার সরঞ্জাম প্রায় ফুরিয়ে এসেছে বলে জানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে তৃতীয় হামাস নেতার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।
জর্ডনে জার্মান ও অস্ট্রিয়ার মন্ত্রী
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যানসি ফায়সার এবং অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরহার্ড কারনার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে পৌঁছেছেন। অভিবাসন এবং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে তারা জর্ডানের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি চান গাজা স্ট্রিপ অ্যামেরিকার তত্ত্বাবধানে রাখতে। গাজা থেকে সমস্ত ফিলিস্তিনি মানুষকে আরব দুনিয়ায় স্থায়ী জায়গা দেওয়ার দাবি জানিয়ছিলেন তিনি। জর্ডান, মিশর-সহ একাধিক আরব দেশ ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে। তবে জর্ডান ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণ ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে তাদের দেশে জায়গা দিয়েছে। এছাড়াও সেখানে প্রায় ১৩ লাখ সিরিয়ার শরণার্থী বসবাস করেন।
জার্মানির বক্তব্য, সিরিয়ার পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভালো। সেখানে বাসার আসাদের সরকারের পতন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জর্ডানে বসবাসকারী সিরিয়ার শরণার্থীরা তাদের দেশে ফিরে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে শরণার্থী নিয়ে জর্ডানের চাপ খানিকটা কমবে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল জার্মানি। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়ার বিরোধী ছিল তারা।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)