যুক্তরাষ্ট্রে অনিশ্চয়তায় অভিবাসীরা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর আশঙ্কায় দেশটিতে বসবাসরত অনেক অভিবাসী।
প্রত্যর্পণের ভয়
জানালার পর্দার ফাঁক গলে কয়েকজন পুলিশকে একটি বাড়ির দিকে এগোতে দেখছেন একজন। যদিও বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে বাসিন্দাদের অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু তাদের উপস্থিতিতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনিয়মিত অভিবাসীরা। জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানো হবে -এই ভয়ে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অনেকে।
চরম অনিশ্চয়তায় অভিবাসীরা
ভেনেজুয়েলা থেকে আসা ২২ বছরের ইতাইলি বলেন "আগামীতে কী ঘটতে যাচ্ছে এ নিয়ে আমি বেশ আতঙ্কে দিন পার করছি।" তার ছেলে বন্ধুকে কয়দিন আগেই একটি নিরাপত্তা চৌকিতে আটক করা হয়। ৫ মাসের শিশুসহ জর্জিয়ার আটলান্টায় একটি বাড়িতে বসবাস করছেন ইতাইলি। কিছুদিন আগেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন তারা। এর মাঝেই প্রশাসনের সাম্প্রতিক তৎপরতায় অস্থিরতার মধ্যে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে তাদের।
পুলিশে নতুন নিয়োগ
অনিয়মিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতে সীমান্তবর্তী অনেক রাজ্যেই নতুন করে পুলিশ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আটলান্টা আইসিই পুলিশের কর্মকর্তা ক্রিস্টিন সুলিভান বলেন, "আমাদের অবশ্যই সদস্য বাড়ানো প্রয়োজন।"
অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের ফয়সালা হয় আদালতে, যার উপর নির্ভর করে একজন অনিয়মিত অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবেন কিনা অথবা তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে কিনা। তবে আদালত আশ্রয় আবেদন খারিজ করে দিলেও যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো অপরাধের রেকর্ড না থাকলে তিনি দেশটিতে থাকতে পারেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায়ই এই অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ।
রেকর্ড মাত্রায় গ্রেপ্তার
ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি কতটুকু কঠোর হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে পুলিশের দেয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রতিদিন অন্তত ৮০০ থেকে এক হাজার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা কিছুটা কমে আসে। বাইডেন প্রশাসনের অধীনে ২০২৪ সালে প্রতিদিন গড়ে ৩১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০২৪ সালে দুই লাখ ৭০ হাজার অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ফেরত পাঠিয়েছে।
উলরিকে শ্যুলসে/ এসএইচ