মোদী-মাক্রোঁর বৈঠক কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(এআই) নিয়ে শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে প্যারিস গেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। 'বন্ধু' মোদীকে সাদর অভ্যর্থনা মাক্রোঁর।
মাক্রোঁর অভ্যর্থনা
নরেন্দ্র মোদীর সম্মানে একটি নৈশভোজ দিয়েছিলেন এমানুয়েল মাক্রোঁ। মোদী সেখানে পৌঁছাতেই তাকে জড়িয়ে ধরলেন মাক্রোঁ। সামাজিক মাধ্যমে লিখলেন, ''আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদীকে প্যারিসে স্বাগত।''
মোদীর ষষ্ঠ সফর
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই নিয়ে ছয়বার ফ্রান্সে এলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, যেভাবে প্যারিসে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে, তা তিনি চিরকাল মনে রাখবেন।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সফর?
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি মাক্রোঁর সঙ্গে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্কের যে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে, তার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবেন। দুই নেতাই ভারত ও ফ্রান্সের সিইও ফোরামের বৈঠকে যোগ দেবেন। সেখানে দুই দেশের বাণিজ্য, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও কৌশলগত সম্পর্ক কীভাবে আরো বাড়ানো যায় তা নিয়ে কথা হবে।
এআই প্রযুক্তি নিয়ে শীর্ষবৈঠক
মাক্রোঁ ও মোদী এই বৈঠকে যৌথভাবে এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন। যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ কোরিয়ার পর এটাই এআই নিয়ে তৃতীয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। এআইয়ের ভবিষ্য়ৎ কী হবে, তার সম্ভাবনা এবং নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা করবেন বিশ্ব নেতারা। এআই এবং তাকে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে এই শীর্ষবৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
থার্মোনিউক্লিয়ার প্রকল্প
মোদী ও মাক্রোঁ ফ্রান্সে আন্তর্জাতিক থার্মোনিউক্লিয়ার (তাপ-পারমাণবিক) পরীক্ষামূলক রিঅ্য়াকটর (আইটিইআর) প্রকল্প দেখতে যাবেন। এটা খুবই উচ্চ প্রয়ুক্তির বৈজ্ঞানিক প্রকল্প। স্বচ্ছ পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রে
ফ্রান্স থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স প্যারিসে এআই শীর্ষবৈঠকে যোগ দিয়েছেন। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথা হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মোদীর এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।