মিয়ানমারের শরণার্থীদের কি ফিরিয়ে দেবে ভারত?
মিয়ানমারে সেনার সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। তাই মিজোরামে চলে এসেছেন প্রচুর মানুষ। থাকছেন শিবিরে।
দীর্ঘ সীমান্ত
মিয়ানামারের সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মনিপুর এবং মিজোরামের এক হাজার ছয়শ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। শুধু মিজোরামের সঙ্গেই আছে পাঁচশ কিলোমিটারের সীমান্ত।
মিজোরামের ওপারে
মিজোরাম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের চীন প্রভিন্স। ২০২১ সালে সেনা শাসন শুরু হওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ মিজোরাম, মনিপুর এবং নাগাল্যান্ডে চলে আসেন।
একাধিক ত্রাণশিবির
মিজোরাম্রে একাধিক জায়গায় ত্রাণশিবিব্র তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আছেন বেশ কযেক হাজার মানুষ।
চম্পাইয়ের ত্রাণশিবির
চম্পাইয়ে প্রায় ১৭ হাজার শরণার্থী ছিলেন। এখন আছেন ১৩ হাজার মানুষ। ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করছে
ব্যবসা করে
শরণার্থী শিবিরের ছাত্রছাত্রীরা মিজোরামের স্কুলে যাচ্ছে। ছোট ছোট দেকান করে অর্থ উপার্জন করছেন শরণার্থীরা।
সীমান্তের ওপার বিদ্রোহীদের দখলে
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সীমান্ত এখন বিরোধী যোদ্ধাদের দখলে। তারাই সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে সেনা চৌকিতে বসে।সেখানে মিয়ানমারের একজন সেনার দেখাও পাওয়া যাচ্ছে না।
কাঁটাতারের বেড়া দিলে
ভারত ঘোষণা করেছে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হবে। বন্ধ করে দেওয়া হবে সীমান্ত পারাপার। তাহলে কী হবে শরণার্থীদের? তাদের কি ফিরে যেতে হবে?
আলোচনা চলছে
মিজোরাম সরকার এনিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলছে। মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ড সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া চায় না।
কী হবে?
শরণার্থীরা রাজনীতি বোঝেন না। বোঝেন না কূটনীতি। তারা কেবল জানেন, অদূর ভবিষ্যত বড়ই ধোঁয়াটে।
স্যমন্তক ঘোষ/এবি রউফ গিয়ানি