মিয়ানমারে ত্রাণ পাঠানোর জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতা
৩১ মার্চ ২০২৫মিয়ানমারে এখনো পর্যন্ত এক হাজার সাতশর বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ। রোববারও একটি ভেঙে পড়া স্কুলের ধ্বংসস্তূপ থেকে চারজনকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। একটি মৃতদেহও উদ্ধার করেন তারা।
ব্যাংককে ১৬ জন মারা গেছেন। ৭৬ জন নিখোঁজ।
মিয়ানমারের অবস্থা
শুক্রবারের ভূমিকম্প ছিল মিয়ানমারের ইতিহাসে ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলির মধ্যে একটি। এর ফলে রাস্তাঘাট ভেঙেছে। বহু বাড়ি ধুলিসাৎ হয়েছে। চারদিকে শুধু ধ্বংসের ছবি। জাতিসংঘ অবিলম্বে সব সদস্য দেশের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছে।
রেড ক্রস ও রেড ক্রেসেন্ট সোসাইটিগুলি(আইএফআরসি) অবিলম্বে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার সাহায্য চেয়েছে, যাতে দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো যেতে পারে।
আইএফআরসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এক লাখ মানুষকে অবিলম্বে জীবনদায়ী সাহায্য দরকার। যারা আটকে পড়ে আছেন, তাদের উদ্ধার করা দরকার। তারপর তাদের আগামী দুই বছর ধরে সাহায্য করতে হবে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন(ডাব্লিউএইচও) বলেছে, এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের জরুরি পরিস্থিতি। তাই অবিলম্বে কাজ শুরু করতে হবে। আগামী একমাস শুধু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থার মোকাবিলা করার জন্য ৮০ লাখ ডলার চাই।
ত্রাণ আসা শুরু
রোববার থেকে বৈদেশিক ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারে পৌঁছাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ভারত, চীন, থাইল্যান্ড মিয়ানমারে উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, রাশিয়াও ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে।
ভারতের বিমান বাহিনীর বিমান ত্রাণসাহায্য ও উদ্ধারকারী দল নিয়ে মিয়ানমারে পৌঁছে গেছে। মান্দালয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর চারটি জাহাজ ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মিয়ানমারে গেছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন।
চীনও একাধিক জাহাজ ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা এক কোটি পাউন্ডের জীবনদায়ী জিনিস পাঠাবে। উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জেনিফার চ্যাপম্যান জানিয়েছেন, তারা অবিলম্বে এই সাহায্য পাঠাবেন।
ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র ইভা হানসিরোভা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, তারাও অবিলম্বে মিয়ানমারে ত্রাণ পাঠাবেন। প্রথমেই ২৫ লাখ ডলারের ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।
ডাব্লিউপিএফ যা বলছে
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম(ডাব্লিউপিএফ)-এর মাইকেল ডানফোর্ড ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, তাদের প্রতিনিধিরা মিয়ানমারে আছেন। তারা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ত্রাণসাহায্য পাঠানো নিয়ে কথা বলছেন।
তিনি বলেছেন, ''সব ক্ষেত্রে ত্রাণ দরকার। বিশেষ করে খাবার, স্বাস্থ্য, জল ও বাসস্থানের দরকার সবচেয়ে আগে। আমরা এই সব ক্ষেত্রে ত্রাণ শুরু করে দিয়েছি। ত্রাণ না পেলে, মানুষ আরো কষ্টের মধ্যে থাকবেন।''
জিএঅইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)