মিথ্যা দাবি বন্ধ না করলে পতঞ্জলির এক কোটির জরিমানা
২২ নভেম্বর ২০২৩বিচারপতি আহসানুল্লাহ ও বিচারপতি পঙ্কজ কুমার মিশ্রর বেঞ্চ জানিয়েছে, ''পতঞ্জলির সব মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এর অন্যথা হলে আদালত কড়া ব্যবস্থা নেবে।''
বিচারপতিরা জানিয়েছেন,'' আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কোনোরকম বিভ্রান্তিকর কথা তারা বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করতে পারবে না। এরপর যদি কোনো মিথ্যা দাবি করা হয়, তাহলে প্রতিটি প্রোডাক্ট-পিছু তাদের এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।''
বিচারপতিরা এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তারা বিষয়টাকে অ্যালোপাথি বনাম আয়ুর্বেদ করতে চান না। তারা চান, মিথ্যা দাবি সম্বলিত বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে।
কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীকে আদালত জানায়, অনেক কঠিন অসুখ তাদের ওষুধে ঠিক হয়ে যায় বলে পতঞ্জলি দাবি জানায়, বিজ্ঞাপন দেয়। তাদের কীভাবে সংযত করা যায়, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারি আইনজীবীকে সুপারিশ করতে হবে।
এনডিটিভি জানাচ্ছে, এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেছিলেন, ''যোগকে জনপ্রিয় করার জন্য আমরা বাবা রামদেবকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তিনি আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা কেন করছেন? আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ব্যবস্থা যে ব্যর্থ হবে না, তার প্রমাণ কোথায় ? এমন সব বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে, যাতে মনে হবে, ডাক্তাররা বোধহয় খুনি।''
আগামী ৫ নভেম্বর ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন(আইএমএ)-র আবেদন শুনবে আদালত। আইএমএ এরকম অনেকগুলি বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি তুলেছে।
চিকিৎসকের বক্তব্য
চিকিৎসক সাত্যকি হালদার ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''এই পতঞ্জলি একসময় দাবি করেছিল, তাদের ওষুধ খেলে কেবলমাত্র ছেলের জন্ম হবে(দিব্য পুত্রজীবক বীজ)। তখনই তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। প্রশাসনের তাদের সতর্ক করা উচিত ছিল।''
সাত্যকি মনে করেন, ''সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পতঞ্জলির সব প্রোডাক্ট যাচাই করে দেখা উচিত।''
'বহুদিন ধরেই বিতর্ক'
সংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আশিস গুপ্ত ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''বহুদিন ধরেই পতঞ্জলির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আছে। ভারতে তারা যেটা বাজারে এনেছে সেটাও একটা পণ্য। তা বিক্রি করার জন্য তারা নানা ধরনের দাবি করছে। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট যথার্থভাবেই মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর কথা বাদ দিতে বলেছে।''
আশিসের বক্তব্য, ''এখনকার সময়ে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে যে ধরনের কথা বলা হয়েছে তা মেনে নেয়া যায় না।''
জিএইচ/এসজি(পিটিআই)