মিউনিখে ৪৩তম আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলন
১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৭প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ইশুর ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় ফোরাম বলে পরিচিত মিউনিখের বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন৷ দু দিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে শনিবার ( ১০.০২.০৭) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের- তাঁর কথায় - মাত্রাধিক সামরিক শক্তি প্রয়োগের সমালোচনা করলেন বেশ কড়া ভাষায়৷ পুটিন তাঁর ভাষণে দ্ব্যর্থহীনভাবে সতর্ক করে দিয়ে এ কথাও বলেছেন যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এক মেরু কেন্দ্রিক বিশ্ব গ্রহণযোগ্য নয়৷ এবং তা সারা দুনিয়ায় বরং আরো বেশি যুদ্ধ আর সংঘাত বয়ে এনেছে৷ পুটিন-এর সাফ কথা - যারা নিজেরা গণতন্ত্র প্রয়োগ করে না তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের সবক নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই মস্কোর৷
মিউনিখের ৪৩তম এই বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যারকেল-এর সঙ্গে আরো উপস্থিত নতুন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস, ইরানের মুখ্য পরমাণু আলোচক আলি লারিজানি, ইসরায়েলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ়িপি লিভনি - সব মিলিয়ে চল্লিশটিরও বেশি দেশ থেকে আড়াইশোর ওপর প্রতিনিধি৷
রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন পূর্ব ইউরোপে আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক ব্যবস্থা বসানোর পরিকল্পনা এবং নাটো জোটের সম্প্রসারণ সম্পর্কেও তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ এর ঠিক আগে স্পেনের সেভিয়ায় নাটো প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই ইভানভ এই পরিকল্পনার সূত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন : ওয়াশিংটন মস্কোকে এক নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নামতে বাধ্য করতে চায়৷
জার্মান প্রতিরক্ষামনত্রী ফ্রান্স ইয়োজেফ ইউং বলেছেন, তিনি পুটিনের উদ্বেগ বুঝতে পারছেন৷ তিনি মনে করেন, নাটো আর রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা দূর করতে সংলাপ আরো জোরদার করতে হবে৷
চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যারকেল তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে বলেছেন, জাতিসংঘের প্রস্তাব ইরানকে পূরণ করতেই হবে৷ কোন কিন্তু নয় - কোন কৌশল নয়৷ ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরীর কাজে বাধা দিতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী বদ্ধপরিকর, বলেছেন ম্যারকেল৷ ইরানের প্রতিনিধি আলি লারিজানি বক্তব্য রাখছেন রবিবার৷
এই সম্মেলনের বিরুদ্ধে মিউনিখে কিছু প্রতিবাদ বিক্ষোভও হয়েছে৷