মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলন
৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের ৭০ জন সরকারী কর্মকর্তা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন৷ সম্মেলনে নিরাপত্তা, পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ে আলোচনা হবে৷
শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৩ দিন ব্যাপী এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জেমস জোনস এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বিশেষ মার্কিন দূত রিচার্ড হলব্রুক৷ এ তো গেলো মার্কিন প্রতিনিধিদের কথা৷ এছাড়া মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ছাড়াও থাকছেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, ন্যাটো প্রধান জঁ দ্য হুপ শেফার, ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং ইরানের পার্লামেন্ট স্পীকার আলী লারিজানি৷
মিউনিখ সম্মেলনেই প্রথম নতুন মার্কিন প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তা এবং ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হতে যাচ্ছে৷ নিরাপত্তা সম্মেলনে এজেন্ডার শীর্ষে থাকছে, আফগানিস্তানে তালেবান হামলা বৃদ্ধি এবং সেখানে ওবামার পরিকল্পনা, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী এবং ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার দ্বারপ্রান্তে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা স্থাপনার মার্কিন পরিকল্পনা৷ এজেন্ডায় অন্য যেসব বিষয়গুলো নিশ্চিত ভাবে থাকছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানী নিরাপত্তা, এবং অগাস্টে রাশিয়া, জর্জিয়া এবং বলকান অঞ্চলসমূহের মধ্যে সংক্ষিপ্ত লড়াই –এর পর, ককেশাস অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা৷
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে শনিবারে বক্তব্য রাখবেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রনীতি সবাইকে অবহিত করবেন বাইডেন৷ নিরাপত্তা সম্মেলনে বাইডেনের বক্তব্যের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে৷ কেননা গত ৮ বছরের ক্ষতি পুরন করে ওবামা প্রশাসন কিভাবে বাকি বিশ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছে, বাইডেনের বক্তব্যে সেটাই প্রতিফলিত হতে যাচ্ছে৷ এদিকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বিশেষ মার্কিন দূত রিচার্ড হলব্রুক সপ্তাহান্তে নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহনের পর, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারত সফর করার পরিকল্পনা করেছেন৷ মিউনিখ সম্মেলনের উদ্দেশ্যে রওনা হবার আগে হলব্রুক ওয়াশিংটন থেকে লন্ডনে গেছেন৷