মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল পরিবর্তনকে অভিনন্দন জানালো ভারত
৫ নভেম্বর ২০০৮মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ললিত মান সিং জানান, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের সূচনা হবে আগামী বছর যখন নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে তাঁর কর্মজীবন শুরু করবেন৷ তিনি আরো জানান, বারাক ওবামা নতুন করে আমেরিকার ইতিহাস লিখলেন৷ বদলে দিলেন আমেরিকার প্রতিচ্ছবি৷ এই প্রথম বারের মত কোন আফ্রিকান বংশোদ্ভোত মার্কিন নাগরিক মার্কিন প্রসাসনের সর্বোচ্চ আসনে নিজেকে অধিষ্ঠিত করলেন৷
মান সিং আরো যে বিষয়গুলোর ওপর জোর দেন তা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এবং কৃষিশিল্পে অগ্রগতি৷ পরমানু কর্মকন্ড বিষয়ক আলোচনার চাপে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টিপাতের সুযোগ হয়নি৷
নতুন দিল্লীর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেরিকান স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক চিন্তামণি মহাপাত্র বলেন, ভারতীয়রা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশাল পরিবর্তনকে অবশ্যই অভিনন্দন জানাচ্ছে৷ এই পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হল৷ এর ফলে শুধু গোটা বিশ্বেই নয় বরং দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চলে সন্ত্রাসের মোকাবেলায় যোগ হল নতুন মাত্রা৷ এই সুযোগ সদ্ব্যবহার শুধু ভারতের নয় বরং পুরো অঞ্চলেরই করা উচিত্৷ সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা করা সম্ভব৷
অধ্যাপক মহাপাত্র আরো জানান, আমি ভারত-মার্কিন সম্পর্কের আলোকিত ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি৷ তিনি আরো জানান, এর আগে আরেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতে উষ্ণ সম্পর্ক ছিল৷ তিনি ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন৷ উল্লেখ্য ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন ভারত সফর করেন৷ অধ্যাপক মহাপাত্র আশা করছেন, হয়তো সেই অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি হবে৷ ভারতের পক্ষে সম্ভব হবে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার৷
নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগেও, বারাক ওবামা এক নির্বাচনী প্রাচারণায় বলেছিলেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহেল অবশ্যই তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর জোর দেবেন৷ ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যের আদান-প্রদান, আলাপ-আলোচনা তাঁর এজেন্ডার শীর্ষে থাকবে৷ উল্লেখ্য, বারাক ওবামার অফিসে মহাত্মা গান্ধীর একটি ছবি সব সময়ই ঝোলানো থাকে৷ এর কারণে আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয়দের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়৷
গত সপ্তাহে কাশ্মীর প্রসঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বারাক ওবামা বলেন, একে ওপরকে দোষারোপ না করে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি সমাধানে আসা উচিত্৷ দু পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া, আলাপ-আলোচনা অনেক বেশী জরুরী৷ এর ফলে পাকিস্তান এবং ভারত দুটি দেশই লাভবান হবে৷ কাশ্মীর কার দখলে থাকবে তার চেয়ে কাশ্মীরের জঙ্গীদের প্রতিহত করার ওপর জোর দেন তিনি৷