মার্কিন পার্লামেন্টে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম ভাষণ
৫ মার্চ ২০২৫দীর্ঘ ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার বক্তৃতায় উঠে এসেছে অ্যামেরিকা প্রথম নীতি। ক্ষমতায় আসার পর তিনি কী কী পরিবর্তন করেছেন এবং কেন করেছেন তা স্পষ্ট করেছেন ট্রাম্প। বক্তৃতার শেষ লাইনে তিনি বলেছেন, অ্যামেরিকার সোনালি দিন কেবলমাত্র শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক বছরে যা এক অন্য মাত্রায় পৌঁছাবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাট নেতাদের দিকে তাকিয়ে তিনি প্রশ্ন করেছেন, ''আপনারা কি চান যে আগামী বছরগুলোতেও অ্যামেরিকা কয়েক বিলিয়ন টাকা যুদ্ধে খরচ করুক?'' প্রশ্নের উত্তরও ট্রাম্প নিজেই দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থ ব্যয় করা এবার বন্ধ করা হবে। অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপের নেতাদের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ট্রাম্প নিজে তা মনে করছেন না। তিনি জানিয়েছেন, ইউরোপের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক আগের মতোই আছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনার টেবিলে বসতে তিনি রাজি।
এদিনের বক্তৃতায় গ্রিনল্যান্ড এবং পানামা খালের কথা আবার তুলেছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, পানামা খাল অ্যামেরিকা নিজের হাতে নেবে। দেশের নিরাপত্তার প্রয়োজনে গ্রিনল্যান্ডও অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। এবং তিনি তা নিয়েই ছাড়বেন। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। আলোচনা করেছেন গাজার যুদ্ধ নিয়ে।
তবে ট্রাম্পের বক্তৃতার কড়া সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট নেত্রী সেনেটর এলিসা স্লটকিন। তার বক্তব্য, ট্রাম্প যে অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা বলছেন, তাতে লাভ হবে কেবলমাত্র ধনীদের। ছোট ব্যবসা ইতিমধ্যেই মার খেতে শুরু করেছে। চাষীরাও সমস্যায় পড়তে শুরু করেছেন বলে দাবি এলিসার।
এলিসার অভিযোগ, ট্রাম্প আদালত, সংবিধান কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না। জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের প্রকাশ্য বিতর্কেরও তুমুল সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট নেত্রী। তার বক্তব্য, ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে যা করেছেন, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
রিপাবলিকানরা অবশ্য ট্রাম্পের বক্তৃতার গুণগান করেছেন। তারা জানিয়েছেন, রেকর্ড সময় ধরে ট্রাম্পের এই বক্তৃতা অ্যামেরিকাকে নতুন পথ দেখাতে সাহায্য করেছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)